সংবাদদাতা, সিউড়ি: শারদ উৎসব পেরিয়েছে। কিন্তু এখনও খোলা হয়নি বিজ্ঞাপনী তোরণ। একে সংকীর্ণ রাস্তা। তার উপর লক্ষ্মীপুজোর বাজারের ভিড়। ফলে ব্যাপক যানজটে জেরবার সিউড়ি টিনবাজার। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, বিজ্ঞাপনদাতাদের গেট খোলার জন্য বলব। না খুললে পুরসভা খুলে দেবে। সিউড়ি শহরের নিত্যনৈমিত্তিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম যানজট। তার অন্যতম প্রধান কারণ সংকীর্ণ রাস্তা। শহরবাসীর অভিযোগ, ফুটপাত দখল করে দোকানপাট, সঙ্গে রয়েছে অত্যধিক সংখ্যায় টোটো চলাচল। এর জেরে প্রায় সারা বছরই শহরে যানজট লেগে থাকে। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো রাস্তায় ওই গেটগুলি সমস্যা আরও বাড়াচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, দুর্গাপুজোর মরশুমে বড় বড় বিজ্ঞাপনী গেট লাগানো হবে এটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু পুজো পেরলেই এগুলি খুলে দেওয়া উচিত। সোমবার লক্ষ্মীপুজো। তাই সিউড়ি মসজিদ মোড় থেকে সাঁইথিয়া যাওয়ার রাস্তায় প্রতিবছরের মতো এবছরও বাজার বসেছে। মূলত পুজোর দু’ দিন আগে থেকে ওই রাস্তার দু’ পাশে মূর্তি নিয়ে বসেন বিক্রেতারা। কেনাকাটার জন্যও প্রচুর মানুষ আসেন। এবছরও তা হয়েছে। ফলে আরও বেশি যানজট হচ্ছে। শহরবাসী অভিষেকা দাস, অমিত পালরা বলেন, লক্ষ্মী, সরস্বতী পুজোর সময়ে মূর্তি বিক্রেতারা এই রাস্তার দু’ পাশে পসরা নিয়ে বসেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই এখানে ভিড় হয়। তার উপর রাস্তায় বিরাট বিরাট বিজ্ঞাপনী গেট থাকায় আরও সংকীর্ণ হয়েছে। সেই কারণেই যানজট হচ্ছে। শহরবাসীর আরও অভিযোগ, সিউড়ি সাঁইথিয়া যাওয়ার মূল রাস্তা এটি। তাই ছোট মাঝারি গাড়ির যাতায়াত লেগেই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যানজট চরম আকার নিচ্ছে। তাই এই গেটগুলি খুলে দিলে সুবিধে হয়। অন্যদিকে সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা গেটগুলি খোলার জন্য কর্তৃপক্ষকে জানাব। লক্ষ্মীপুজোর পর অফিস খুললে নোটিশও পাঠাব। তারপরও কাজ না হলে, পুরসভা ওইগুলি খুলে দেবে।