• বাঁকুড়ায় বিসর্জনের পর দাঁড়িয়ে থেকে ঘাট পরিষ্কার করালেন চেয়ারপার্সন
    বর্তমান | ০৬ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: বাঁকুড়া শহরে নদীঘাটের দূষণ রোধে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। রবিবার পুরসভার চেয়ারপার্সন অলকা সেনমজুমদার ঘাটগুলি পরিদর্শন করেন। প্রতিবছর বিসর্জনের পর দুর্গা ও লক্ষ্মী প্রতিমার কাঠামো বাঁকুড়া শহরের নদনদী ও জলাশয়ের ঘাটগুলিতে দূষণ ছড়ায়। পুজো উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি পুরকর্মীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এবার তা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে চেয়ারপার্সন উদ্যোগী হয়েছেন। এদিন সাফা‌ই কর্মীদের নিয়ে তিনি গন্ধেশ্বরী ও দ্বারকেশ্বরের ঘাটগুলিতে হাজির হন। চেয়ারপার্সন উপস্থিত থাকায় সাফাই কর্মীরাও সক্রিয় ছিলেন। ফলে এবার নদীঘাটগুলি পরিষ্কার হচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

    চেয়ারপার্সন বলেন, শহরের সিংহভাগ প্রতিমা গন্ধেশ্বরী নদী ও দ্বারকেশ্বর নদের ঘাটে বিসর্জন হয়। সতীঘাটে অনেকে প্রতিমা নিরঞ্জন করেন। দুর্গার পাশাপাশি লক্ষ্মী প্রতিমাও নদীতে বিসর্জন করা হয়। বর্তমানে নদীর স্রোত সেভাবে নেই। ফলে বিসর্জনের পর কাঠামোগুলি ঘাটেই থেকে যায়। এদিন সাফা‌ই কর্মীরা তা সরিয়ে ফেলেন। আমি দাঁড়িয়ে থেকে সাফাই কাজের তদারকি করেছি। তিনি আরও বলেন, বিসর্জনের পর যাতে কাঠামো জল থেকে তুলে নদীর পাড়ে রাখা হয়, তারজন্য কমিটিগুলিকে প্রতিবছরই অনুরোধ করা হয়। অনেকে সেইমতো কাজও করেন। দূষণ এড়াতে বাকি কাঠামোগুলি আমরা সরিয়ে দিই।

    পুরসভা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় শতাধিক দুর্গাপুজো হয়। তারমধ্যে বারোয়ারি পুজোর সংখ্যাই বেশি। কিছু বনেদি বাড়িও শহরে রয়েছে। বারোয়ারি পুজোর অনুমতি প্রশাসনের কাছে সাধারণত নেওয়া হয়। পারিবারিক পুজোর অনুমতি নেওয়ার রীতি নেই। দশমী বা একাদশীর দিন থেকে বিসর্জন শুরু হয়। বিসর্জনের পর প্রতিমার কাঠামো দীর্ঘদিন ধরে নদী বা জলাশয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রতিমার সঙ্গে থাকা প্লাস্টিকের ফুল, মালা সহ অন্যান্য সামগ্রী জলে ভেসে বেড়ায়। তার ফলে দল দূষণ হয়।  এদিকে, বাঁকুড়া শহরের গন্ধেশ্বরী নদীর দূষণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নাগরিক সমাজের একাংশ সরব। নদী বাঁচাও কমিটিও তৈরি হয়েছে। ওই নদীকে পুনরুজ্জীবনের জন্য প্রশাসনের তরফেও প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। দিনদিন গন্ধেশ্বরী নদীর মজে যাওয়া নিয়ে এমনিতেই পরিবেশবিদরা উদ্বিগ্ন। তার উপর লাগাতার মানুষের নানা ক্রিয়াকলাপে নদী গতি হারালে সমস্যা আরও প্রকট হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। বিষয়টি মাথায় রেখে এবার পুরসভার তরফে বাড়তি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এভাবে পুরসভার কর্তারা আগামী দিনেও যাতে সরেজমিনে বিভিন্ন কাজ খতিয়ে দেখেন, সেই দাবিও বাসিন্দারা জানিয়েছেন।   প্রতিমার কাঠামো তোলাচ্ছেন বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন অলকা সেন মজুমদার। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)