• ১ হাজার মানুষকে প্রসাদ সাহাবাড়ির লক্ষ্মীপুজোয়
    বর্তমান | ০৬ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: একসময় নবদ্বীপের মণিপুর ঘাট রোড লাগোয়া সাহাবাড়িতে লক্ষ্মীপুজোর জৌলুস ছিল অন্যরকম। পুজোর আগে ও পরে পৌরাণিক বিষয়বস্তু নিয়ে যাত্রাপালা হতো। তা দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমাতেন। এখন যাত্রা না হলেও পূর্বপুরুষের রীতি মেনে নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে সাহাবাড়িতে পুজো হচ্ছে। কোজাগরী পূর্ণিমাতেই পুজোর নাড়ু, মোয়া, মুড়কি প্রস্তুত করা হয়। পুজোর পরদিন প্রায় একহাজার মানুষকে পাত পেড়ে খিচুড়ি, পুষ্পান্ন, পঞ্চব্যঞ্জন, পরমান্ন প্রসাদ খাওয়ানো হয়। স্থানীয়রা মণ্ডপে এসে পুজো দেখার পাশাপাশি প্রতিমা নিরঞ্জনের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন। প্রায় আট ফুট উঁচু মৃন্ময়ী প্রতিমার পুজো হয় সাহাবাড়িতে। এখানে দেবীর সঙ্গে থাকেন তাঁর দুই সখী জয়া ও বিজয়া। দেবীর ডানদিকে জয়া ও বাঁদিকে বিজয়ার মূর্তি থাকে। সাহা পরিবারের সদস্যরা যে যেখানেই থাকুন, পুজোর সময় বাড়িতে আসেন।

    প্রায় ৯০বছর আগে তৎকালীন পূর্ববঙ্গের ঢাকা জেলার নৌসিন্দি গ্রামে সাহা পরিবারের শরিকি পুজো শুরু হয়েছিল। পরে নবদ্বীপের মণিপুর ঘাট রোডে প্রায় ৭০বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে। নবদ্বীপের মণিপুরে বস্ত্র ব্যবসায়ী চার ভাই সুরেশচন্দ্র সাহা, উপেন্দ্রচন্দ্র সাহা, মণীন্দ্রচন্দ্র সাহা ও মাখনলাল সাহা এই পুজো শুরু করেছিলেন। 

    এখন সত্যজিৎ সাহা, নারায়ণ সাহা, পিন্টু সাহা, সুজিত সাহা, প্রদীপ সাহা ও অমল সাহারা পুজোর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সত্যজিৎবাবু বলেন, পরিবারের সমস্ত শরিক যে যেখানেই থাকুন না কেন, পুজোর সময় নবদ্বীপে চলে আসেন। এই সময় খুব আনন্দ হয়। বাড়ির মহিলারা পুজোর আয়োজন করেন। পুজোর পরদিন মণ্ডপে প্রায় একহাজার মানুষকে পাত পেড়ে প্রসাদ খাওয়ানো হয়। পুজোর একদিন পর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে মণিপুর ঘাটে ভাগীরথীতে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। সেই শোভাযাত্রায় পড়শিরাও অংশ নেন।
  • Link to this news (বর্তমান)