• সাঁইথিয়ায় পুজোর আগেই সংস্কার হয়েছিল, জলের তোড়ে ভাঙল ময়ূরাক্ষীর কজওয়ে
    বর্তমান | ০৬ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: জলের তোড়ে ফের ভাঙল সাঁইথিয়ায় ময়ূরাক্ষী নদীর ফেরিঘাটের কজওয়ে। যার জেরে সাঁইথিয়ার সঙ্গে শহরের অন্যান্য অংশের যোগাযোগের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। চরম সমস্যায় পড়েছে পণ্যবাহী গাড়িগুলি। ২০ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগছে দেড় ঘণ্টা! তীব্র যানজট শহরের প্রবেশ পথে।  উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দুর্গাপুজোর সপ্তমীতেই কজওয়ে মেরামত করে যান চলাচল শুরু হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই তা ফের ভেঙে যাওয়ায় চিন্তায় পুরসভা থেকে প্রশাসনের কর্তারা। 

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর বর্ষায় ময়ূরাক্ষীর জলস্তর বাড়ার কারণে কজওয়ে ভেঙে গিয়েছিল। দ্রুত কজওয়ে যে মেরামত করা হবে, সেই উপায় ছিল না। কারণ, এবছর এমনিতেই অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। প্রায় সবসময়ই ফুলেফেঁপে ছিল ময়ূরাক্ষী। অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিলপাড়া ব্যারেজ। ব্যারেজ মেরামতির জন্যও ক্রমাগত জল ছাড়া হচ্ছিল। তাই কজওয়ে মেরামত করা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছিল না। তবে, বৃষ্টি কিছুটা কমতে এবছর পুজোর মুখেই সংস্কার করা হয় কজওয়ের। সপ্তমীর দিন তা খুলে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের জন্য। যদিও পুজো কাটতে না কাটতেই ফের ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টিপাতে হঠাৎই জলস্তর বাড়ে ময়ূরাক্ষী নদীতে। তার জেরেই গত কয়েকদিন হল জলের তলায় চলে গিয়েছে কজওয়ে। যার জেরে ফের শুরু হয়েছে ভোগান্তি। বীরভূম জেলার ‹বাণিজ্যনগরী› হিসাবে পরিচিত সাঁইথিয়া। পূর্ব রেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনও। সাঁইথিয়া শহরকে চিরে দিয়ে চলে গিয়েছে হাওড়া-রামপুরহাট রেলপথ। একটি রেলসেতু শহরের দুই প্রান্তকে যুক্ত করেছে। তবে, ময়ূরাক্ষীর উপরে অস্থায়ী কজওয়ে শহরের ‘লাইফ লাইন’ হিসেবে কাজ করে। শহরের ভিড় এড়িয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কজওয়ে দিয়ে যাতায়াত করে। বোলপুর, আমোদপুর, লাভপুর সহ সাঁইথিয়ার মহাজনপট্টিতে মাল নিতে আসা ট্রাকগুলিও কজওয়ের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। ফলে শহর এড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে সেগুলি। যদিও কজওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় পণ্যবাহী গাড়িগুলি নতুন রেল সেতু ব্যবহার করছে। সেতু অবশ্য নামেই নতুন! বছর খানেক আগেই জীর্ণ সেতুর সংস্কার হয়েছে। কিন্তু যেভাবে দিনরাত সেতুর উপর দিয়ে ওভারলোডেড গাড়ি যাতায়াত করছে, তাতে সেই সেতুর স্বাস্থ্য কতদিন ভালো থাকে তাই নিয়ে চিন্তায় পুরসভা। সাঁইথিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব দত্ত বলেন, এবছর ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। অতিবৃষ্টির জেরে ফুলেফেঁপে উঠেছিল ময়ূরাক্ষী। কজওয়ে ভেঙে গিয়েছিল। ময়ূরাক্ষীর জলস্তর না কমার কারণে আমরা তা সংস্কারও করতে পারছিলাম না। পুজোর আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কজওয়ে সংস্কার করি। সপ্তমী থেকে তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু ফের বৃষ্টির জেরে কজওয়ে ভেসে গিয়েছে। জল না কমলে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।
  • Link to this news (বর্তমান)