সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: দুর্গোৎসব শেষ হতেই আবার সপ্তাহব্যাপী দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনে রোলিং ব্লক নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচলে প্রভাব পড়তে চলছে। রোলিং ব্লকের জেরে ডিভিশনের উপর ভরসা করা সাধারণ যাত্রীরা ব্যাপক অসুবিধায় পড়বে। রেলের তরফ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং, টিআরডি এবং এসঅ্যান্ডটি বিভাগ যৌথ ভাবে কাজ করবে। তাই আজ, সোমবার থেকে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত কাজ করা হবে। যাত্রীদের জন্য বিষয়টি আগাম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদ্রা ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬৮০৭৭/৬৮০৭৮ (আদ্রা–ভাগা) মেমু প্যাসেঞ্জার ৬, ৮, ১০, ১১ এবং ১২ অক্টোবর চলাচল করবে না। পাশাপাশি ৬৮০৪৬/৬৮০৪৫ (আসানসোল–আদ্রা) মেমু প্যাসেঞ্জার, ৬৮০৫৩/৬৮০৫৪ (আদ্রা-বরাভূম) মেমু প্যাসেঞ্জার ১২ অক্টোবর এবং ৬৮০৫৬ (টাটা -আসানসোল) মেমু প্যাসেঞ্জার ১১ অক্টোবর চলাচল করবে না। এছাড়া ৬৮০৯০/৬৮০৮৯ (আদ্রা-মেদিনীপুর) মেমু প্যাসেঞ্জার ১০ এবং ১২ অক্টোবর বাতিল করা হয়েছে।
বাতিলের পাশাপাশি কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৬৮০৫৬/৬৮০৬০ (টাটানগর–আসানসোল-বরাভূম) মেমু প্যাসেঞ্জার ৭ অক্টোবর আদ্রা পর্যন্ত চলাচল করবে। ওইদিন ট্রেনটি আদ্রা-আসানসোল অংশে পরিষেবা বাতিল থাকবে। পাশাপাশি ১৩৫০৩/১৩৫০৪ (বর্ধমান–হাটিয়া) মেমু এক্সপ্রেস ৭ এবং ১০ অক্টোবর গোমো স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করবে। ওই দিনগুলিতে ট্রেনটির পরিষেবা গোমো–হাটিয়া অংশে বাতিল থাকবে। এবং ১৮০১৯/১৮০২০ (ঝাড়গ্রাম–ধানবাদ) এক্সপ্রেস ৭ ও ১০ অক্টোবর বোকারো স্টিল সিটি পর্যন্ত চলবে। ওই দিনগুলিতে বোকারো–ধানবাদ অংশে ট্রেনটির পরিষেবা বাতিল থাকবে।
এছাড়া ৬৮০৬০ (আসানসোল-বরাভূম) মেমু প্যাসেঞ্জার এবং ৬৮০৫৫ (আসানসোল- টাটা) মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেন দু’টি ১১ অক্টোবর আদ্রা পর্যন্ত চলাচল করবেন। এবং ৬৩৫৯৪/৬৩৫৯৩ (আসানসোল-পুরুলিয়া) মেমু প্যাসেঞ্জার ১২ অক্টোবর আদ্রা পর্যন্ত চলাচল করবে। ওইদিন ট্রেনটির পরিষেবা আদ্রা-পুরুলিয়া অংশে বাতিল থাকবে।
শুধু তাই নয়, ১৮১৮৪ (বক্সার–টাটানগর) এক্সপ্রেস ১২ অক্টোব বক্সার থেকে নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিট দেরিতে চলবে। এছাড়া ১৮০৩৬ (হাটিয়া–খড়গপুর) এক্সপ্রেস ৮ ও ১১ অক্টোবর হাটিয়া থেকে নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়বে। এছাড়া, ১৮০৩৫ (খড়গপুর-হাটিয়া) এক্সপ্রেস ১২ অক্টোবর খড়গপুর থেকে ২ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়বে। এবং ৬৮০৮৮ (ধানবাদ-বাঁকুড়া) প্যাসেঞ্জার ৬, ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা দেরিতে ধানবাদ থেকে ছাড়বে।
আদ্রা ডিভিশনের নিত্যযাত্রীদের মধ্যে সুবল দাস, শান্তকুমার সরেন, বাসবী কিস্কু বলেন, কোভিডের পর থেকে আদ্রা ডিভিশনের রেল পরিষেবা শোচনীয় হয়ে উঠেছে। ধীরে ধীরে ট্রেন পরিষেবা উন্নত হওয়ার জায়গায়আরও খারাপ হয়েছে। বাঁকুড়া সাংসদ সুভাষ সরকার সাধারণ মানুষের কথা শোনেনি বলে ভোটে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক না হলে সামনে বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ যোগ্য জবাব দেবে।
আদ্রা ডিভিশনের এক রেল আধিকারিক জানিয়েছেন, যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবে রেল সুরক্ষার জন্য সাময়িক ট্রেনের ব্লক নেওয়া হয়। তাই একনাগাড়ে সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন ট্রেনগুলির ব্লক নেওয়া হয় না। সপ্তাহে এক কিংবা দু’ দিন পরিষেবা বাতিল করা হয়।