সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যরাতে জয়পুরের সোয়াই মান সিং হাসপাতালে বিধ্বংসী আগুন। মৃত্যু অন্তত সাত রোগীর। ঘটনায় আশঙ্কাজনক আরও বেশ কয়েকজন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। জানা যাচ্ছে, হাসপাতালের আইসিইউতে প্রথম এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য জায়গাতেও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরেই হাসপাতালের কর্মীরা পালিয়ে যায়। সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। তবে কীভাবে এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান। অন্যদিকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় হাসপাতালে দুশোরও বেশি রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুধু তাই নয়, চারটি আইসিইউর প্রত্যেকটিতে অন্তত ৪০ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন বলেও খবর। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। ফলে পায়ে হেঁটে বেরোনোর সম্ভব ছিল না। অভিযোগ, প্রতিটি আইসিইউতে মাত্র একজন কর্মী ছিলেন। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি। ফলে রোগীর আত্মীয়রাই উদ্ধার কাজে হাত লাগান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর গোটা হাসপাতাল একেবারে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, কালো ধোঁয়ায় চারপাশ এতটাই ঢেকে যায় যে কিছু দেখা যাচ্ছিল না।
ট্রমা সেন্টার ইন-চার্জ অনুরাগ ধাকড় জানিয়েছেন, ”ঘটনার পরেই দ্রুত রোগীদের স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।” অনুরাগের কথায়, ”ট্রমা আইসিইউতে শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে। বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হচ্ছিল। বেশিরভাগ গুরুতর রোগীই কোমায় ছিলেন। ট্রমা সেন্টার টিম, নার্সিং অফিসাররা তাৎক্ষণিকভাবে রোগীদের উদ্ধার করে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করে।” অন্যদিকে ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। গোটা ঘটনা সরজমিনে খতিয়ে দেখেন। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন।