অর্ণব আইচ: কলকাতায় সব থেকে বেশি নিরাপদ শিশু ও প্রবীণরাও। শিশু ও প্রবীণদের উপর বিভিন্ন ধরনের অপরাধ যে অনেকটাই কম, তা জানিয়েছে কেন্দ্রের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো। যেখানে বিজেপি শাসিত দিল্লির মতো শহরে অপরাধের শিকার তথা আক্রান্ত ১৩৬৬ জন প্রবীণ, সেখানে কলকাতায় এই অপরাধের সংখ্যা মাত্র ৬। আবার দিল্লিতে শিশু তথা নাবালক-নাবালিকাদের উপর অপরাধের সংখ্যাও কলকাতার থেকে প্রায় ২৬ গুণ।
এর পর নাবালকদের উপর অপরাধ ও অত্যাচারের ক্ষেত্রে একে একে রয়েছে মুম্বই, বেঙ্গালুরু, জয়পুর, ইন্দোর, লখনউ-সহ বহু শহরের নাম। কেন্দ্রের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পরিসংখ্যানেই উঠে এসেছে এই তথ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া ২০২৩ সালের এনসিআরবি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতাই দেশের সবথেকে সুরক্ষিত ও নিরাপদতম শহর। দেশের অন্যান্য যে কোনও শহরের থেকে কলকাতায় অপরাধের সংখ্যা অনেকটাই কম। তারই রেশ ধরে এনসিআরবি স্পষ্ট করল যে, শিশু ও প্রবীণদের উপর অপরাধের ক্ষেত্রেও কলকাতা সব থেকে সুরক্ষিত।
২০২৩ সালে দেশের ১১টি বড় শহরে তুলনামূলক অপরাধের পর্যালোচনা করেছে কেন্দ্রের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো। এনসিআরবি-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে পকসো আইনে কলকাতায় শিশু তথা নাবালিকাদের উপর শিকার হয়েছেন।
এ ছাড়াও নাবালিকার ‘শ্লীলতাহানি’, যৌনকর্মের জন্য বিক্রির চেষ্টা-সহ বেশ কিছু ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে কলকাতায় অপরাধের সংখ্যা ৯৫। সেখানে দিল্লিতে এই সংখ্যা ৫৮৩৯ ও অপরাধের শিকার হয়েছে ৬৭৪৯ জন নাবালক-নাবালিকা। মুম্বইয়ে এই সংখ্যা ১৮৯২, বেঙ্গালুরুতে ১২৪১, পুণেতে ৭৯৫, জয়পুরে ৭৮০, আমেদাবাদে ৪২৪।
কলকাতায় শিশু তথা নাবালক-নাবালিকাদের উপর মোট অপরাধের সংখ্যা ২৯৭। সেখানে দিল্লিতে ৭৭৩১টি অপরাধের ঘটনায় শিকার হয়েছে ৯০৫৭ জন নাবালক-নাবালিকা। মুম্বইয়ে ৩১৮৬, বেঙ্গালুরুতে ২০৯৮, ইন্দোরে ১২৮২, পুণেতে ১২৬৩, জয়পুরে ১১১৬, আমেদাবাদে ৯৬২, হায়দরাবাদে ৬৯৪, চেন্নাইয়ে ৬৮৬, সুরাতে ৫৬১, কানপুরে ৪২৬ জন নাবালক-নাবালিকা অপরাধের শিকার হয়েছে।
আবার এনসিআরবি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রবীণদের উপর অপরাধের ক্ষেত্রে ২০২৩ সালে কলকাতায় ঘটেছে ৬টি ঘটনা। সেখানে ১৩৬১টি ঘটনায় ১৩৬৬ জন প্রবীণ অপরাধের ‘শিকার’ হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে খুন, ডাকাতি-সহ বিভিন্ন ঘটনা। বেঙ্গালুরুতে ৬৫৫ জন, মুম্বইয়ে ৫২০, চেন্নাইয়ে ৩৯৯, হায়দরাবাদে ২৯২, নাগপুরে ২৩২, জয়পুরে ১৮৫, আমেদাবাদে ১৮৪ প্রবীণ অপরাধের শিকার হয়েছেন।