স্কুলের নাম শুনলেই থরথর করে কাঁপছে নাবালিকা, কারণ কী? ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ফাঁস, থানায় ছুটল পরিবার
আজকাল | ০৬ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্কুলে যেতেই ভয় পাচ্ছিল নাবালিকা। কিন্তু কারণ কী? দিনের পর দিন মুখে কুলুপ এঁটে ছিল সে। অবশেষে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানাল পরিবারে। স্কুলের মধ্যেই লাগাতর যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের শিকার সে। তবে ভয়ের চোটে এতদিন কাউকে কিছু জানায়নি। নাবালিকার অভিযোগ পেয়েই থানায় ছুটল পরিবার।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, দিনের পর দিন স্কুলের মধ্যে হেনস্থার শিকার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। তাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্কুলের ম্যানেজারকে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, ওই এলাকার এক যুবক গত সপ্তাহে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মেয়ের স্কুলের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। যুবকের অভিযোগ, তার নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন ওই স্কুলের ম্যানেজার। ধর্ষণের আগে দিনের পর দিন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। ধর্ষণের শিকার হয়ে বাড়িতে ঘটনাটি জানায় নাবালিকা। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা।
পুলিশ আধিকারিক সঞ্জয় রেড্ডি জানিয়েছেন, 'স্কুলের মধ্যেই এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই স্কুলের ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্ট করা হবে শীঘ্রই।'
প্রসঙ্গত, গত মাসেই এই রাজ্যে আরও একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। পরিচিত দাদা ডেকে নিয়ে গিয়েছিল কথা বলার জন্য। কথা বলার সময় নাবালিকাকে পানীয় খেতে দেয়। তারপরেই ভয়াবহ ঘটনা। পরিচিত দাদা ও তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করল নাবালিকাকে। সারারাত সেই অবস্থাতেই পড়েছিল ওই নাবালিকা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের খাগারিয়া জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ বছর বয়সি নাবালিকাকে নেশাদ্রব্য মেশানো পানীয় খাইয়ে অচৈতন্য করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর গণধর্ষণ করা হয়। ছয়জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা বর্তমানে পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের তরফে পুলিশে জানানো হয়েছে, মূল অভিযুক্ত নাবালিকার পরিচিত। ঘটনার দিন ওই অভিযুক্ত যুবক নাবালিকার সঙ্গে কথা বলার অজুহাতে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়। এরপর মোটরসাইকেলে করে নাবালিকাকে নিয়ে যায় নির্জন এলাকায়। সেখানে পৌঁছনোর পর মূল অভিযুক্ত ও তার পাঁচ বন্ধু মিলে নাবালিকাকে পানীয় খেতে দেয়। সেই পানীয়তে মেশানো ছিল নেশাদ্রব্য।
মাদক মেশানো পানীয় খেয়েই অচৈতন্য অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে নাবালিকা। তারপরেই গণধর্ষণ করা হয়। সেই অবস্থাতেই নাবালিকাকে ওই নির্জন এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সারারাত সেই অবস্থাতেই পড়েছিল সে। সকালে জ্ঞান ফেরার পর কোনও মতে বাড়িতে ছুটে পালিয়ে আসে সে। এরপর পরিবারের সদস্যদের ভয়াবহ ঘটনাটি জানায়। তড়িঘড়ি করে থানায় ছুটে যায় নির্যাতিতার পরিবার।
পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় ও পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।