ঘর থেকে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার! 'অস্বাভাবিক যৌন চাহিদা'র অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬১- এর প্রৌঢ়, জানাজানি হতেই হুলুস্থুল...
আজকাল | ০৬ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেরালার চোয়ান্নুরের একটি ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হল অর্ধদগ্ধ এক পুরুষের দেহ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ৬১ বছরের এক প্রৌঢ়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সানির বাড়ি চোয়ান্নুরেই। তবে এই প্রথম নয়। খবর অনুযায়ী, এর আগেও ২০০৩ ও ২০০৫ সালে দুটি খুনের মামলায় জড়িয়েছিল অভিযুক্ত।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, 'অস্বাভাবিক যৌন চাহিদা' ঘিরে কোনও বিবাদের জেরেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় সানির ভাড়া নেওয়া ঘর থেকে আচমকা ধোঁয়া বেরোতে দেখে চমকে উঠেছিলেন স্থানীয় প্রতিবেশীরা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় কুন্নামকুলাম থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারা এসে দরজা ভেঙে অর্ধদগ্ধ এক পুরুষের দেহ উদ্ধার করে। জান গিয়েছে, সেই সময় থেকেই পলাতক ছিল সানি। রাতে থ্রিসুরের শক্তান বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এক তদন্তকারী আধিকারিক জানান, "সানি দাবি করেছে, নিহত ব্যক্তিকে সে ভালো করে চিনত না। রবিবার একটি মদের দোকানে তাদের প্রথম আলাপ হয়। তারপর মদ্যপানের নাম করে তাকে নিজের ঘরে নিয়ে আসে অভিযুক্ত।"
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সানি ওই ব্যক্তিকে 'অস্বাভাবিক যৌনতার' জন্য জোরাজুরি করেছিল। এরপরই দু'জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেই বিবাদের জেরে সানি আক্রমন করে ওই ব্যক্তিকে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হয়েছে, সেই আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে ব্যক্তির। পরে অপরাধ ঢাকতে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় সানি। জানা গিয়েছে, জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করে দাহ্য তরল পদার্থ।
পরবর্তীতে পুলিশের হাতে একটি সিসিটিভি ফুটেজও এসছে। সেখানে রবিবার সানির সঙ্গে নিহত ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। তদন্তকারী অফিসারের কথায়, "সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, সানি ওই ব্যক্তিকে মদ খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে নিয়ে যায়।"
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৩ সালে এক আত্মীয়কে খুনের অভিযোগে নাম জড়িয়েছিল সানির। ২০০৫ সালে আবার এক ব্যক্তিকে হত্যা করে অভিযুক্ত। সেই ঘটনাটিও 'অস্বাভাবিক যৌন চাহিদা'-ঘিরে ঘটেছিল বলে খবর মিলেছে। উল্লেখিত দুটি মামলার মধ্যে একটিতে তার দোষ প্রমাণিত হয়। তবে কিছু বছর আগে জেল থেকে ছাড়া পায় সানি । সম্প্রতি থ্রিসুরের একটি দোকানে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করছিল সানি।
কুন্নামকুলাম থানার পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হলেও, এখন তা বদলে হত্যা মামলা হিসেবে ধারা সংযোজন করা হয়েছে। হত্যায় অভিযুক্ত হিসেবে সানিকেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে স্থানীয় থ্রিসুর মেডিক্যাল কলেজে। পুলিশ সূত্রে খবর, বর্তমানে সিসিটিভি ফুটেজ সমস্ত থানায় পাঠানো হয়েছে, যাতে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা যায়। তদন্ত চলছে পুরোদমে।