আজকাল ওয়েবডেস্ক: পশ্চিম আগরতলার রাজনগর এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন শঙ্কর দাস নামে এক ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শঙ্কর দাস ওই শিশুর পূর্ব পরিচিত ছিলেন৷ এমনকী তরুণী তাঁকে 'দাদু' বলে ডাকত। বর্তমানে সে স্থানীয় জিবি প্যান্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনা জানাজানি হতে ফেটে পড়েছে এলাকাবাসী৷
শনিবার গভীর রাতে পশ্চিম আগরতলা মহিলা থানার পুলিশ ও আমতলি থানার সহায়তায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। পেশায় মাছ বিক্রেতা শঙ্কর দাসের বিরুদ্ধে শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় নির্যাতিতার বাবা-মা চিকিৎসার কারণে বাড়ির বাইরে ছিলেন। সেই সুযোগে অভিযুক্ত শঙ্কর দাস (অভিযোগ অনুযায়ী) তরুণীকে ফুসলিয়ে একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যান। সেখানেই তার উপর অকথ্য শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় এবং জোর করে বিষ (পেস্টিসাইড) খাওয়ানো হয়।
নাবালিকার মা থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, "মে যখন মারাত্মক অবস্থায় ছিল, তখন স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে শারীরিক অবস্থার ক্রমে অবনতি হলে তাকে জিবি প্যান্ট হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।"
পশ্চিম আগরতলা মহিলা থানার অফিসার-ইন-চার্জ শিউলি দাস জানান, "অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করা হয়েছে। তদন্ত জারি রয়েছে। নির্যাতিতা এখন স্থিতিশীল অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সুস্থ হলে তার বয়ান নেওয়া হবে। তার উপর ভিত্তি করে পরবর্তী তদন্ত হবে।"
নির্মম এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। স্থানীয় মানুষজন দোষীর কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব। পুলিশ আশ্বস্ত করেছে, কোনও রকম গাফিলতি না করে গোটা বিষয়টির নিরপেক্ষ ও গভীর তদন্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই উত্তরপ্রদেশে আরও একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। পরিচিত দাদা ডেকে নিয়ে গিয়েছিল কথা বলার জন্য। কথা বলার সময় নাবালিকাকে পানীয় খেতে দেয়। তারপরেই ভয়াবহ ঘটনা। পরিচিত দাদা ও তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করল নাবালিকাকে। সারারাত সেই অবস্থাতেই পড়েছিল ওই নাবালিকা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের খাগারিয়া জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ বছর বয়সি নাবালিকাকে নেশাদ্রব্য মেশানো পানীয় খাইয়ে অচৈতন্য করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর গণধর্ষণ করা হয়। ছয়জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা বর্তমানে পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের তরফে পুলিশে জানানো হয়েছে, মূল অভিযুক্ত নাবালিকার পরিচিত। ঘটনার দিন ওই অভিযুক্ত যুবক নাবালিকার সঙ্গে কথা বলার অজুহাতে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়। এরপর মোটরসাইকেলে করে নাবালিকাকে নিয়ে যায় নির্জন এলাকায়। সেখানে পৌঁছনোর পর মূল অভিযুক্ত ও তার পাঁচ বন্ধু মিলে নাবালিকাকে পানীয় খেতে দেয়। সেই পানীয়তে মেশানো ছিল নেশাদ্রব্য।
মাদক মেশানো পানীয় খেয়েই অচৈতন্য অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে নাবালিকা। তারপরেই গণধর্ষণ করা হয়। সেই অবস্থাতেই নাবালিকাকে ওই নির্জন এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সারারাত সেই অবস্থাতেই পড়েছিল সে। সকালে জ্ঞান ফেরার পর কোনও মতে বাড়িতে ছুটে পালিয়ে আসে সে। এরপর পরিবারের সদস্যদের ভয়াবহ ঘটনাটি জানায়। তড়িঘড়ি করে থানায় ছুটে যায় নির্যাতিতার পরিবার।
পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় ও পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।