আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃষ্টি বন্ধ হতেই উত্তরবঙ্গে ফুটে উঠছে ভয়াবহ চিত্র। নাগরাকাটার বামনডাঙা চা বাগানে পাঁচ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এছাড়াও চারিদিকে শুধু ধ্বংসাবশেষ। বিপুল জলরাশির স্রোতে ঘর বাড়ি থেকে শুরু করে জঙ্গলের বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে রয়েছে স্তুপের আকারে। যেই এলাকাগুলি শনিবার রাতেও বসতি ছিল তার ভগ্নাশেষের উপর জমেছে পলি। নিজের বসত ভিটে চেনাও দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জেরে বানারহাট ও নাগরাকাটার মধ্যবর্তী ১৭ নং জাতীয় সড়কে কালীখোলা সেতুতে যান চলাচল এখনও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সেতুর হাল ঠিক না হওয়ায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। কবে কালীখোলা সেতু যান চলাচলের উপযুক্ত হবে তা নিয়েও একপ্রকার অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অবশ্য ইতিমধ্যেই কাজও শুরু করেছে। সেতুর বসে যাওয়া পিলার মেরামত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সোমবার উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি এই এলাকায় আসতে পারেন। সেজন্য সেতুর কাজ পরিদর্শনে এসেছিলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক। মন্ত্রীর সঙ্গে এদিন এই এলাকায় বিজেপি সাংসদ মনোজ টিজ্ঞার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার সকালেই উত্তরবঙ্গ পৌঁছেছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। এদিন সকালে কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরা বিমানবন্দর এসে পৌঁছেছেন তিনি। এরপর বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে তিনি চলে যান ডুয়ার্সের উদ্দেশ্যে।
বন্যার জেরে ইতিমধ্যেই বহু বন্যপ্রাণ তাদের বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জলে ভেসে গিয়েছে গন্ডার, হরিণের মতো প্রাণী। নদী পাড় হতে গিয়ে জলের স্রোতে আটকে গিয়েছে হাতির পাল। বন্যার জেরে কিছু বন্যপ্রাণীর মৃত্যু ঘটেছে বলেও জানা গিয়েছে। বন্যায় ভেসে গিয়ে বহু প্রাণী লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে আশ্রয়ের খোঁজে। স্থানীয়রা জানান, এইসময় তাঁদের বড় চিন্তা সাপের কামড়ের। জঙ্গল ভেসে যাওয়ার জন্য সাপ ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে সাপে কামড়েছে বলে জানা গিয়েছে।