নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বিপর্যয়ের জেরে আপাতত জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের ঢোকা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হল। গোরুমারার জঙ্গলে সাফারির ব্যাপারে পর্যটকদের উপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যাত্রাপ্রসাদ ও চাপড়ামারি ওয়াচটাওয়ার খোলা থাকলেও আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মেদলা ওয়াচটাওয়ার। আগামী কয়েকদিন পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গোরুমারার সহকারী বন্যপ্রাণ আধিকারিক রাজীব দে। এদিকে ভরা পর্যটন মরশুমে পাহাড়ে বিপর্যয়, সঙ্গে ডুয়ার্সেও জলদাপাড়া ও গোরুমারায় পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় চরম সংকটে উত্তরের পর্যটন শিল্প। যদিও বন দফতরের আধিকারিকদের দাবি, পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এটা করা হয়েছে। জলদাপাড়ার জঙ্গলের ভিতর দিয়ে একাধিক নদী ও ঝোরা বয়ে গিয়েছে। ভুটান পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে ওইসব নদী ও ঝোরা ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়েছে। নদীর জলের স্রোতে গন্ডার, হরিণ সহ একাধিক বন্যপ্রাণ ভেসে গিয়েছে। মৃত্যুও হয়েছে কয়েকটির। তাছাড়া জলের তোড়ে জঙ্গলের রাস্তা, কাঠের ছোট সেতুর অবস্থাও খারাপ। এই পরিস্থিতিতে বনকর্মী ও পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত জলদাপাড়া জঙ্গলে পর্যটকদের এন্ট্রি পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হল। জলঢাকা নদীর জল বেড়ে গোরুমারাতেও বিপন্ন হয়ে পড়ে বন্যপ্রাণ। গতকাল একাধিক হরিণ সহ দুটি গন্ডার ভেসে যায়। এর মধ্যে একটি গন্ডারের মৃত্যু হয়। এই পরিস্থিতিতে জঙ্গলের ভিতর বন্যপ্রাণ কোথায়, কীভাবে আছে তা ভালোভাবে খতিয়ে না দেখে পর্যটকদের জঙ্গল সাফারির অনুমতি দিতে চাইছে না বন দপ্তর।