পুজোর পরে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও ধসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। পুজোর আগে থেকেই পাহাড়ে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। পুজোর পরেও ভিড় কোনও অংশে কমেনি। এই পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ভয়াবহ অবস্থা উত্তরবঙ্গের। পুজোর সময় পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন বহু পর্যটক। এখনও অনেক পর্যটক সেখানে আটকে রয়েছেন। অনেককে উদ্ধার করা হয়েছে। পাহাড়ে দুই দিন আটকে থাকার পর সোমবারই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন হুগলির দুটি পরিবার। পাহাড়ের এই ভয়াবহ রূপের সাক্ষী থেকে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। এক পর্যটকের কথায়, ‘মনে হচ্ছিল যেন পাহাড় ভেঙে পড়ছে।’
এই দুই পরিবারের মোট ৬ জন হুগলির বৈদ্যবাটি থেকে উত্তরবঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তাঁরা গত ১ অক্টোবর ব্যান্ডেল থেকে তিস্তা–তোর্সা এক্সপ্রেস ধরে পরের দিন নিউ মাল স্টেশনে পৌঁছন। সেখান থেকে তাঁরা প্রথমে যান দাওয়াইপানিতে। সেখানে দুই দিন কাটিয়ে তাঁরা পৌঁছন দার্জিলিঙের কাগে। শনিবার সেখানে থাকাকালীনই দুর্যোগ শুরু হয়। জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক পর্যটক জানিয়েছেন, রাত ১০টা থেকে ভয়াবহ বৃষ্টির পাশাপাশি বাজ পড়তে থাকে। মনে হচ্ছিল পাহাড় ভেঙে পড়ছে। তাই সকলে মিলে সেই রাতে একটি ঘরেই কাটিয়েছিলেন তাঁরা। এত বৃষ্টি এর আগে কখনও দেখেননি হুগলির এই দুই পরিবার। সকালে উঠে তাঁরা দেখেন, নদী সব ভাসিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। ফলে পরিবারকে নিয়ে হোটেলেই আটকে থাকতে হয়। সোমবার কোনও রকমে অন্য পথ দিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। তবে পাহাড়ের এই অভিজ্ঞতা ভুলতে পারছেন না তাঁরা।