ভূতনির চরকে নদীর গ্রাস থেকে রক্ষা করতে আন্দোলনের পথে ছাত্ররা
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৬ অক্টোবর ২০২৫
নদীর বাঁধের ভাঙন প্রতিরোধে বছরভর কাজ করে থাকেন ওঁরা। কিন্তু জোটে না স্থায়ী কাজ। স্থায়ী কাজের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই সরব তাঁরা। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করে না প্রশাসন , অভিযোগ এমনটাই। ভূতনির চরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বছর বেশিরভাগ সময়ই তাঁরা বাঁধের কাজ করে থাকেন। তবে সবই করেন নিজেদের তাগিদে।
গঙ্গা-ফুলহরের ভাঙন প্রতিরোধের স্থায়ী কাজের দাবিতে প্রতি বছর সরব হলেও সুরাহা হয়নি কোনও। রাজ্য এবং কেন্দ্র, কোনও তরফেই সাড়া না মেলায় এবার আন্দোলনের মোড় ঘুরতে চলেছে। নদীর ভাঙন রোধে চরের বাসিন্দাদের দাবির সমাধানে এগিয়ে এসেছে ছাত্র সমাজ। বড়সড় আন্দোলনে নামার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।
নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে ভূতনির চরের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সঙ্গে মানুষের সঙ্গেও কথা বলেছেন তাঁরা। তাঁদের সমর্থন করতে এগিয়ে এসেছেন চরের বাসিন্দারা। উতসব মিটে যাওয়ার পর জোরদার আন্দোলনের পথে এগোবেন তাঁরা। তাঁদের হুমকি, এর জেরে স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে প্রশাসনিক কাজকর্ম থেকে শুরু করে প্রাত্যহিক জীবন। ছাত্র আন্দোলনের এই কর্মসূচীর কথা প্রশাসনিক স্তরেও পৌঁছেছে। এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা না হলেও, পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে প্রশাসন।
প্রতি বছরই গঙ্গা-ফুলহরের জলে প্লাবিত হয় ভূতনি। বছর দুয়েক আগে কাটাবাঁধ এলাকায় বাঁধ ভেঙে যায়। সেই কয়েক মাস জলবন্দি ছিলেন ভূতনির চরের মানুষ। পরবর্তীকালে সেই বাঁধ মেরামত করা হলেও গত বছর আবার বাঁধ ভেঙে ভেসে যায় ভূতনির চর। এই বছরও উত্তর ও দক্ষিণ চণ্ডীপুর ও হীরানন্দপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে যায়। পাশাপাশি গঙ্গার জলের তোড়ে রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের পশ্চিম রতনপুর গ্রামের বাঁধ ভেঙে যায়। এরপরেই আরও সঙ্গীন হয়ে ওঠে ভূতনির চরের পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে এবার আন্দোলনের পথে চরের ছাত্র সমাজ।
তবে প্রশাসনিক স্তরে এই আন্দোলন নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশানের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের বিষয়টি আমরা জেনেছি। পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি। ছাত্রদের সঙ্গে প্রয়োজনে কথা বলা হবে।’