• টালিগঞ্জ-যাদবপুরে মিটবে জলসংকট, আগামী মার্চের মধ্যে শেষ হবে জল প্রকল্পের কাজ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ অক্টোবর ২০২৫
  • কলকাতা পুরসভা শহরের দক্ষিণাংশে পানীয় জলের ঘাটতি মেটাতে বড়সড় উদ্যোগ নিয়েছে। পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগ জানিয়েছে, গড়িয়ার ঢালাই সেতুর জল শোধনাগার এবং ধাপার জয় হিন্দ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের সম্প্রসারণের কাজ ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প দু’টি চালু হলে টালিগঞ্জ-যাদবপুর ও বাইপাস সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা নতুনভাবে জল সংযোগের সুবিধা পাবেন।


    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢালাই সেতুর জল শোধনাগারটি প্রথমে প্রতিদিন ১ কোটি গ্যালন জল সরবরাহের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। তবে নতুন সম্প্রসারণে ধাপার জয় হিন্দ জল শোধনাগারে ২০ কোটি গ্যালন সক্ষমতার একটি নতুন ইউনিট গড়ে তোলা হচ্ছে। এর ফলে মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৫ কোটি গ্যালনে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    গত অগস্ট মাসে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে ধাপা ও ঢালাই সেতুর প্রকল্প স্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেই সময় নির্মাণের অগ্রগতিতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করলেও, কাজের গতি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। হাকিমের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ছয় মাসের মধ্যেই কাজ উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প আধিকারিকরা।

    জল প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, বাইপাসের বিশাল অংশজুড়ে মূল পাইপলাইন বসানোর কাজও সমান্তরালভাবে শুরু হচ্ছে। এতে ভূগর্ভস্থ জলের উপর নির্ভরতা কমবে এবং একই সঙ্গে নাগরিকরা নিয়মিত পরিশোধিত জল পাবেন। তাঁর কথায়, মোট ১১৭ কিলোমিটার পাইপ বসানোর জন্য চুক্তি হয়েছে। ঠিকাদারদের এই মাসের শেষের দিকেই কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে পাইপলাইন সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত থাকে।

    পুরসভা আরও জানিয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় টালিগঞ্জ-যাদবপুর এবং ইএম বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় ১৮টি অর্ধ-ভূগর্ভস্থ জলাধার ও ক্যাপসুল বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। এর বেশিরভাগই ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যেই চালু হবে। বাকিগুলির কাজ শেষ হবে ওই বছরের শেষ নাগাদ। শনিবার পুরসভার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, শহরজুড়ে জল সরবরাহ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। লক্ষ্য, নাগরিকদের আর কখনও জল সংকটের মুখে যেন পড়তে না হয়। দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে যে তীব্র জলচাহিদা তৈরি হয়েছে, এই প্রকল্প শেষ হলে সেই ঘাটতি অনেকটাই মিটবে বলে আশাবাদী প্রশাসন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)