• চুপিচুপি অশ্লীল ভিডিও তোলার চেষ্টা! প্রতিবাদ করতেই কিশোরীর চুলের মুঠি ধরে মারধর, খুনের চেষ্টা তরুণের ...
    আজকাল | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: চুপিচুপি আপত্তিকর ভিডিও তোলার চেষ্টা। প্রতিবাদ করেছিল কিশোরী। ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টাও করেছিল। তাতেই ঘটল বিপত্তি। প্রকাশ্যে কিশোরীকে বেধড়ক মারধর করে খুনের চেষ্টা করে এক তরুণ। যে ঘটনায় শিউরে উঠেছেন স্থানীয়রা। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মিরাটে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিঠাউর এলাকায় ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরীকে প্রকাশ্যে মারধর করে, শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে এক তরুণ। অভিযুক্ত তরুণ চুপিসারে কিশোরীর আপত্তিকর অবস্থার ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করছিল। সেই কাজের প্রতিবাদ করেছিল কিশোরী। তার জেরেই জনসমক্ষে তাকে বেধড়ক মারধর করে হেনস্থা করে। 

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ৩ অক্টোবর। গাজিয়াবাদের লোনি এলাকার বাসিন্দা এই কিশোরী। পরিবারের সঙ্গে ঠাকুমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। সেই এলাকায় ২০ বছর বয়সি জানু নামের এক তরুণের সঙ্গে তার বচসা শুরু হয়। 

    কিশোরী দেখতে পায়, তার আপত্তিকর অবস্থার ভিডিও তোলার চেষ্টা করছিল জানু। কয়েকটি ছবিও তুলেছিল।‌সঙ্গে সঙ্গে তরুণের কাছে গিয়েই ফোনটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে কিশোরী। ফোনে কী কী ভিডিও ও ছবি তুলেছে তাও দেখতে চায়। তখনই কিশোরীর উপর হামলা করে অভিযুক্ত তরুণ। প্রকাশ্যে কিশোরীর চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধর করে। এরপর রাস্তায় ফেলে গ্লাস টিপে তাকে খুনের চেষ্টাও করে। 

    খানিকক্ষণ পর কিশোরী বাঁচার জন্য পালাতে গেলে, আবারও হামলা করে ওই তরুণ। সকলের সামনেই কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করে। অচৈতন্য অবস্থায় তখন কিশোরী রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা এরপর ছুটে এসে কিশোরীকে উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া তার পরিবারে।‌ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছাড়া পায় ওই কিশোরী। সেদিন থানায় অভিযোগ জানায় সে। 

    কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক ঘণ্টা পরেই অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে সে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। 

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই এই রাজ্যেই মেয়েদের আপত্তিকর ভিডিও তোলা ঘিরে আরও এক ভয়াবহ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ছাদের একটি জায়গা ছিল ফাঁকা। সেখান থেকে উঁকি দিলেই দেখা যেত হস্টেলের স্নানঘরে। নিত্যদিন সেই ছাদ থেকেই স্নানঘরে উঁকি দিয়ে মেয়েদের স্নান করা দেখত। কখনও কখনও মোবাইল ফোনে ভিডিও তুলেও রাখত। টানা একবছর এমন কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। অবশেষে হাতেনাতে ধরা পড়ল। এক দশম শ্রেণির ছাত্রী অভিযুক্ত যুবককে ধরিয়ে দিল পুলিশের হাতে। তাকে গ্রেপ্তারের পরেই আরও কেচ্ছা ফাঁস হল‌। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে। হস্টেলের স্নানঘরে মেয়েদের স্নান করার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করার অভিযোগ উঠেছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতের নাম, হিমাংশু রায়। সে হীরাপট্টি কলোনির বাসিন্দা।‌পরিবারের সঙ্গেই থাকে হিমাংশু। গত এক বছর ধরে ওই এলাকারই একটি হস্টেলে মেয়ের স্নানের মুহূর্তটি চুপিচুপি দেখত। অনেক সময় সেই দৃশ্য ফোনে ক্যামেরাবন্দি করত। 

    গত রবিবার ওই হস্টেলের এক দশম শ্রেণির ছাত্রী স্নানঘরে ঢুকে দেখতে পায়, ছাদের একটি অংশ ফাঁকা। সেখানেই একটি মোবাইল ক্যামেরা চোখে পড়েছিল তার। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে বাকিদের ডেকে আনে সে। তড়িঘড়ি করে ছাদে ওঠেন অনেকেই। হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই যুবক। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, হিমাংশুর কীর্তি এর আগেও জানতে পেরেছিল হস্টেলের পড়ুয়ারা। অতীতে ছাত্রীদের ভিডিও দেখিয়ে হুমকি দিত সে। ছাত্রীদের হুমকি দিয়ে বলত, যদি পুলিশে বা কাউকে নালিশ করা হয়, তাহলে স্নানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবে সে। 

    এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, হিমাংশুর ফোন ও ল্যাপটপ ঘেঁটে কমপক্ষে ৪০টি পর্নোগ্রাফি ভিডিও পাওয়া গেছে। আরও অশ্লীল ছবি রয়েছে ফোন ও ল্যাপটপে। তিনি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'এক যুবককে হাতেনাতে ধরেছে ওই হস্টেলের পড়ুয়ারা। ওই পড়ুয়াদের স্নানের একাধিক ভিডিও তার ফোন থেকে পাওয়া গেছে। একবছর ধরে হস্টেলের মেয়েদের এই স্নানের ভিডিও সে তুলছিল। তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। ইলেকট্রিক ডিভাইসগুলি ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে।' 
  • Link to this news (আজকাল)