• গুজরাতে বয়লার বিস্ফোরণে মৃত্যু নন্দীগ্রামের দুই পরিযায়ী শ্রমিকের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • গুজরাতে বয়লার বিস্ফোরণে মৃত্যু হল নন্দীগ্রামের দুই পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃতদের নাম প্রণব দিন্দা (২৫) এবং চন্দন দাস (২৯)। তাঁরা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের কালীচরণপুরের বাসিন্দা ছিলেন। নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা তথা ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি শেখ আলরাজি ওই দুই শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, গ্রাম থেকে বেশ কয়েকজন ওখানে গিয়েছেন। শীঘ্রই তাঁদের কফিনবন্দি দেহ ফিরিয়ে আনা হবে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ মাস আগে প্রণব দিন্দা এবং চন্দন দাস গুজরাতে কাজে যান। গুজরাতের কচ্ছ জেলার পাডানার একটি কারখানায় কাজ করতেন তাঁরা। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ কারখানায় ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। সেই সময় আচমকা বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চন্দন দাসের। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রণব দিন্দাকে। কিছুক্ষণ পরেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    দু’জনের মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছাতেই শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রণব দিন্দার পরিবারে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা-মা। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তিনিই। চন্দন দাসের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও দুই নাবালক সন্তান। মৃতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই পরিবারকেই ৭ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। রবিবার বিকেলে সেই ক্ষতিপূরণের অর্থ দুই পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে গিয়েছে।

    প্রণবের বাবা উত্তম দিন্দা বলেন, ‘গুজরাতে কাজে গিয়ে একমাত্র ছেলেটা চলে গেল। শুনলাম, ওর মৃতদেহ অ্যাম্বুল্যান্সে করে আনা হচ্ছে। মঙ্গলবার দেহ বাড়িতে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে। কী নিয়ে বাঁচব জানি না।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)