পুজো মানেই আনন্দ, আড্ডা এবং বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে হুল্লোড়। যে হুল্লোড়ে মদের ভূমিকা বরাবরই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাঙালি হোক বা অবাঙালি, মদ্যপান ছাড়া উৎসব-রাতের আড্ডাটা বড্ড বেমানান লাগে যেন। তারই জম্পেশ প্রভাব দেখা এ বছরের ব্যবসায়।
এই এম এল বিক্রি হয়েছে ৩২০৫০৯.৭২ লিটার, এফ এল ২০২৬৫৫.৮৫ লিটার এবং বিয়ার ২৮৪২০৫.৩৯ লিটার। বিদেশিকে টেক্কা দিলো আই এম এল দেশিয় মদ। চারদিনে মোট মদ বিক্রি থেকে উপার্জন ৩৩৮৬৯৭১৯৭.০২ টাকা।
সবথেকে এগিয়ে মেদিনীপুর। ৩৪ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে সেখানে।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। সেই উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রতিবারই রেকর্ড অঙ্কের মদ বিক্রি হয়। প্রায় ১৫০ কোটি টাকার মদ বিক্রি হল পুজোর চারটে দিন।
ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত রেকর্ড মদ বিক্রি। এবছর দশমী ও গান্ধী জয়ন্তী একইদিনে পড়েছিল। ফলে সেদিন রাজ্যের সমস্ত মদের দোকান বন্ধ ছিল। ফলে সুরাপ্রেমীরা নবমীতেই মদ স্টক করে রেখেছিলেন।
এবছর বিজয়া দশমী ও গান্ধী জয়ন্তী একই দিনে পড়েছে। ফলে ঐদিন মদের দোকান বন্ধ থাকায়। বিক্রি কিছুটা কমেছে। প্রতিবছর গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে ২ রা অক্টোবর ব্লাক ডে হিসাবে মদের দোকান বন্ধ থাকে। এবারেও বন্ধ ছিল মদের দোকান।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা গত কয়েক বছরে মদ বিক্রিতে টেক্কা দিচ্ছে অন্য জেলাকে। দিঘা,তাজপুর,মন্দারমণির মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলি থাকায় সেখানে সারা বছরই মদের বিক্রি তুলনামৃূলক বেশি। তবে পুজোয় সেই রেকর্ড অন্য মাত্রায় পৌঁছে গেল।
পুজোতেও অনেকে শহরের ভিড় এড়িয়ে চলে যান সমুদ্র সৈকতে। ফলে সেখানে অন্য জেলা ও রাজ্যের মানুষও গিয়ে পুজোর সময় মদ কিনেছেন বলে খবর। ফলে পুজোয় সেই জেলায় এমন পরিমাণ মদ বিক্রি অস্বাভাবিক কিছু নয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
পুজোর সময় শহর হোক বা মফস্বল, মদের বিক্রি এমনিতেই ভাল থাকে। তবে এবার যেন সব রেকর্ড ভেঙে দিল পূর্ব মেদিনীপুর। অন্য সব জেলাকে মদ বিক্রিতে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিল।