জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'ভুলে যান এখন রাজনীতি'। উত্তরবঙ্গে দুর্যোগে মোকাবিলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'কেউ কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। এমন কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে, যে ঘটনা কাম্য নয়'।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'একটা আবেদন আছে, দুঃখ আছে, দুর্যোগ। প্রকৃতি কারও হাত নেই। দুর্ভোগ আছে। সংকট মোকাবিলা করতে হবে একসাথে। কেউ কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। এমন কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে, যে ঘটনা কাম্য নয়, যে ঘটনায় কারও উপরে কোনও আঘাত আসে। যে যার মতো আসবে, কথা বলে চলে যাবে। এটা সবার অধিকার আছে। কিন্তু এটা নিয়ে রাজনীতির মধ্য়ে না গিয়ে, এই সংকটে মানুষের পাশে এসে দাঁড়াই'।
এর আগে, জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আক্রান্ত হন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। রেহাই পাননি মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মুও। অভিযোগ, রীতিমতো ইট, পাথরের দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয় তাঁদের গাড়িতে। স্রেফ বিধায়ক শঙ্কর ধাক্কা মারাই নয়, মারের চোটে মাথা ফাটে সাংসদের। রক্তে ভিজে যায় মুখ! প্রবল বিক্ষোভে শেষে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ওদের ওয়েদার ডিপার্টমেন্ট আমাদের জানিয়েছি। কিন্তু ৫ তারিখে। ৪ তারিখ রাতে ঘটনাটা ঘটে। ৫ তারিখে ওয়েদার রিপোর্ট দেখে আমাদের তো কোনও লাভ হয়নি। তখন তো ঘটনা ঘটে দিয়েছে'। জানান, 'আগামী ৭, ৮ তারিখে হাই টাইড মানে যেটা উঁচু বান আসে, সেই বানটা আসবে। নিচু জায়গায় যাঁরা আছেন, বাড়িঘরের থেকে জীবন আগে। বাড়িঘর, কাপড়জমা, কাগজপত্র হারিয়ে গেলে, ফিরে পাবেন, তার ব্য়বস্থা করে দেব। কিন্তু জীবন হারিয়ে গেলে ফিরে পাবেন না'।
মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, 'নিচু জায়গায় যাঁরা আছেন, ২ দিনের জন্য অন্তত ডিএম, এসপি আছে ওখানে, স্থানীয় সাংসদ, বিধায়ক যাঁরা আছেন, ভুলে যান এখন রাজনীতি। পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ, পুরসভা, সাংসদ, বিধায়ক, তাঁদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসুন। থাকা খাওয়া জায়গার কোনও অসুবিধা হবে না'। বলেন, 'ঘরবাড়ি যাঁদের ভেঙে গিয়েছে, আমরা দেখব। যথাসাধ্য উদ্যোগ নিয়ে করব। সব রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গিয়েছে, সব ব্রিজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সব তো একসাথে করা যাবে না। মিরিকের ব্রিজটা আমরা অবিলম্বের করে দেব। যেহেতু যোগাযোগটা বিচ্ছিন্ন আছে। বাদবাকীগুলি দেখব। বন্যাত্রাণে কেন্দ্রীয় সরকার একটা পয়সাও দেয় না'।