মৌমিতা চক্রবর্তী: বন্যাকবলিত উত্তরবঙ্গে আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক। 'তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন', সরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দলের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে ফোন করে আক্রান্ত সাংসদ ও বিধায়কের খোঁজ নিলেন রাজনাথ সিং।
এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে মোদী লিখেছেন, 'যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরা, যাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেন—পশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন'। সঙ্গে বার্তা, 'পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান'।
ঘটনাটি ঠিক কী? আজ, সোমবার জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। রেহাই পাননি মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মুও। অভিযোগ, রীতিমতো ইট, পাথরের দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয় তাঁদের গাড়িতে। স্রেফ বিধায়ক শঙ্কর ধাক্কা মারাই নয়, মারের চোটে মাথা ফাটে সাংসদের। রক্তে ভিজে যায় মুখ! প্রবল বিক্ষোভে শেষে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী এখন উত্তরবঙ্গে। পৌঁছেছেন আজ, সোমবার। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, 'একটা আবেদন আছে, দুঃখ আছে, দুর্যোগ। প্রকৃতি কারও হাত নেই। দুর্ভোগ আছে। সংকট মোকাবিলা করতে হবে একসাথে। কেউ কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। এমন কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে, যে ঘটনা কাম্য নয়, যে ঘটনায় কারও উপরে কোনও আঘাত আসে। যে যার মতো আসবে, কথা বলে চলে যাবে। এটা সবার অধিকার আছে। কিন্তু এটা নিয়ে রাজনীতির মধ্য়ে না গিয়ে, এই সংকটে মানুষের পাশে এসে দাঁড়াই'।