গুজরাটের কারখানায় বিস্ফোরণ! প্রাণ গেল নন্দীগ্রামের ২ পরিযায়ী শ্রমিকের
প্রতিদিন | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: গুজরাটে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল নন্দীগ্রামের বাসিন্দা দুই পরিযায়ী শ্রমিকের। কারখানায় কাজ করার সময় জোরাল বিস্ফোরণ হয়েছিল। তার জেরেই বাংলার দুই শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে প্রাথমিক খবর। মৃতদের নাম চন্দন দাস ও প্রণব দিণ্ডা। মৃত্যুর খবর পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়েছে। দুর্গাপুজোর আমেজ কাটতে না কাটতেই এই দুঃসংবাদে শোকাহত দুই পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি জানার পর স্থানীয় বিডিও ওই দুই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে খবর। রাজ্য সরকারের শ্রম দপ্তরের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় প্রতি শ্রমিকের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে সাহায্যের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খবর।
পূর্ব মেদিনীপুরের নদীগ্রামের কালীচরণপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই দুই পরিবার। ২৫ বছরের চন্দন দাস ও ২৯ বছরের প্রণব দিণ্ডা গুজরাটে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। গুজরাটের কচ্ছ জেলার গান্ধীনগরে “রুদ্রাক্ষ ডেটকেম এলএলপি” কারখানায় কর্মরত ছিলেন তাঁরা। শনিবার ওই কারখানার বয়লারে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় জোরালো বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানেই কাজ করছিলেন ওই দুই যুবক। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর নন্দীগ্রামের পরিবারের কাছে পাটানো হয়। দুই যুবক ছিলেন তাঁদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি। জোয়ান ছেলের মৃত্যু ও সংসার আগামী দিন চলবে কীভাবে, সেই ভেবেই অসহায় হয়েছেন দুই পরিবারের সদস্যরা।
ইতিমধ্যেই গুজরাটের ওই সংস্থার তরফে মৃতদের পরিবারদের দুই সদস্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৭ লক্ষ করে মোট ১৪ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কোম্পানির তরফে মৃতদেহ গুজরাট থেকে নন্দীগ্রামের বাড়িতে পাঠানোর যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আগামী কাল মঙ্গলবার মৃতদেহ বাড়িতে আসবে বলে খবর। এ বিষয়ে স্থানীয় বিডিও সৌমেন বণিক বলেন, “নন্দীগ্রামের দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। আমরা প্রশাসনিকভাবে কী কী সহযোগিতা করা যায়, সেই চেষ্টা করছি।”