• ড্রিমলাইনারের সমস্যা আড়াল করতেই বার বার পাইলটদের দিকে আঙুল? DGCA-কে চিঠি FIP-র
    এই সময় | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ভারতের বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন’ বা DGCA–কে চিঠি দিয়ে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের ইলেকট্রিক্যাল ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করল ‘ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান পাইলটস’ বা FIP। ৪ অক্টোবর অমৃতসর থেকে বার্মিংহামে নামার সময়ে এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনারের র‍্যাম এয়ার টারবাইন বা ‘র‍্যাট’ খুলে যায়। তার পরে ড্রিমলাইনারের নিরাপত্তা বা সেফটি নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে।

    ১২ জুন আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক যাওয়ার সময়ে টেক–অফের পরপরই ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার। মারা যান প্রায় ২৬০ জন। তাঁদের মধ্যে দুই পাইলট, ১০ জন কেবিন ক্রু, ২২৯ জন যাত্রী ছাড়াও ছিলেন আরও মানুষ। কারণ, বিমানটি গিয়ে ভেঙে পড়েছিল আমেদাবাদের একটি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে।

    পাইলটদের ফেডারেশনের অভিযোগ, দুর্ঘটনার দায় বার বার সেই ফ্লাইটের দুই পাইলটের উপরে চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার তদন্তে নামে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো বা AAIB। এক মাসের মাথায় তারা যে রিপোর্ট পেশ করে, সেখানেও পাইলটদের দিকেই দোষারোপের ইঙ্গিত ছিল বলে পাইলটদের দাবি।

    FIP-র অভিযোগ, বোয়িং বিমানের কোনও ত্রুটি ছিল না বলে প্রমাণ করারই যেন আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। পাইলটদের প্রশ্ন, এ বারে ৪ অক্টোবর এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট বার্মিংহামের ল্যান্ডিংয়ের মুখে কেন ‘র‍্যাট’ খুলে গেল? ‘ব়্যাট’ তো তখনই খোলার কথা, যখন বিমানের দু’টি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। সে দিন তো দু’টি ইঞ্জিনেই কোনও সমস্যা ছিল না।

    পাইলটদের দাবি, ড্রিমলাইনার নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছে, তা আবার ৪ অক্টোবরের ঘটনায় প্রমানিত। ১২ জুনের ঘটনাতেও ভেঙে পড়ার আগে ‘র‍্যাট’ বেরিয়ে এসেছিল। তবে, সে বার দু’টি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, ৪ অক্টোবর তো সব ঠিকঠাকই ছিল। তা হলে কেন ‘র‍্যাট’ বেরিয়ে আসবে। খতিয়ে দেখুক DGCA।

  • Link to this news (এই সময়)