• আতঙ্ক কাটিয়ে ফের কাশ্মীরমুখী পর্যটকরা, আশার আলো দেখছে শিল্পমহল
    বর্তমান | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • বিশেষ সংবাদদাতা, শ্রীনগর ও নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় পর্যটকদের নারকীয় হত্যার শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশ। সেই আতঙ্ক এখনও তাড়া করে ফেরে কোটি কোটি দেশবাসীকে। কাশ্মীরে ওই জঙ্গিহানার পর একেবারে থমকে গিয়েছিল সেখানকার পর্যটন ব্যবসা। ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যটক কমে গিয়েছে। তবে ফের ভূস্বর্গমুখী হচ্ছেন ভ্রমণার্থীরা। আগামী দিনগুলির জন্য যেভাবে বুকিং শুরু হয়েছে, তাতে আসন্ন মরশুমে পর্যটন ব্যবসা নিয়ে আশার আলো দেখছে শিল্পমহল। 

    কাশ্মীরে যাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। শীত, গ্রীষ্ম হোক বা বসন্ত—সারা বছরই সেখানে প্রকৃতির আলাদা আলাদা স্বর্গীয় রূপ ধরা পড়ে। সেই সূত্রেই আসন্ন শীতের মরশুমে কাশ্মীর নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে উৎসাহ চোখে পড়ছে বলে দাবি ফেডারেশন অব অ্যাসোসিয়েশনস ইন ইন্ডিয়ান ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি’র জেনারেল সেক্রেটারি রাজীব মেহরার। তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরের সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ফলে আগামী দিনগুলিতে পর্যটন নিয়ে তৈরি হয়েছে উচ্চাকাঙ্ক্ষা। এই শীতেই আমরা ভালো সংখ্যায় পর্যটক পাব বলে আশা করছি। দেশীয় পর্যটকরা বরফঢাকা কাশ্মীরের সৌন্দর্য দেখতে এবং শীতপ্রধান স্পোর্টস উপভোগ করতে আসবেন। তবে বিদেশি পর্যটকরা আসবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।’ তিনি আরও জানান, এবার হোটেলভাড়াও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ফলে তুলনামূলক কম খরচে পর্যটকরা ভূস্বর্গের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। 

    পার্ক ট্রাভেলস কর্তা মনোজ গুপ্তা বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে পর্যটকদের থেকে খোঁজখবর পেতে শুরু করেছি। আসন্ন মরশুমে তার গতি আরও বাড়বে বলে আশা করছি।’ অন্যান্য ট্যুর অপারেটররাও জানিয়েছেন, তাঁরা দেশের নানা প্রান্তে প্রচার শুরু করেছেন পর্যটকদের কাশ্মীরে আনার জন্য। শাকিব খান নামে এক ট্রাভেল এজেন্ট বলেন, ‘ডিসেম্বরের জন্য আমরা ইতিমধ্যেই কিছু বুকিং পেয়েছি। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে বুকিং আরও বাড়বে বলেই আশা করছি আমরা।’  

    এদিকে, এ রাজ্যের পর্যটন শিল্পের অন্যতম সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুরিজম সার্ভিস প্রোভাইডার্স অব বেঙ্গলের অন্যতম কর্তা সমর ঘোষ বলেন, ‘মানুষ ভয় কাটিয়ে ফের কাশ্মীরমুখী হতে শুরু করেছেন। তবে কাশ্মীর নিয়ে বিগত কয়েক বছরে পর্যটকদের মধ্যে যে উৎসাহ দেখেছি, এবার তেমনটা দেখা যাচ্ছে না।’ একই সুর শোনা গিয়েছে কুণ্ডু স্পেশালের কর্ণধার সৌমিত্র কুণ্ডর কথাতেও। তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরে সারা ভারত থেকেই পর্যটক যান। দেশের অন্যান্য প্রান্তের মানুষ হয়তো উৎসাহিত হয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা বাঙালিদের মধ্যে খুব একটা উৎসাহ দেখছি না। আমরা সম্প্রতি ভূস্বর্গে দু’টি ট্রিপ করেছি। কিন্তু সেগুলিতে খুব ধীরে বুকিং হয়েছিল। অথচ পহেলগাঁও কাণ্ডের আগে ট্রিপ ঘোষণা হলেই বুকিং প্রায় শেষ 

    হয়ে যেত।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)