• ‘মধ্যস্থতা বাণিজ্যে’ চীনের থেকে ভারত বহু পিছিয়ে, সতর্কতা নীতি আয়োগের
    বর্তমান | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: চীনের তুলনায় বাণিজ্যের প্রধান চালিকা শক্তিগুলিতে ভারত বহু পিছিয়ে। স্পষ্টই জানিয়ে দিল নীতি আয়োগ। ত্রৈমাসিক বাণিজ্য রিপোর্ট প্রকাশ করে নীতি আয়োগ সোমবার বলেছে, মধ্যস্থতা বাণিজ্যে ভারত বহু পিছিয়ে। নীতি আয়োগের সিইও বি ভি আর সুব্রহ্মণ্যম রীতিমতো কঠোর ভাষায় বলেছেন, ভারতের বাণিজ্য নীতি অন্তত এই ক্ষেত্রে ভুল পথে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত মধ্যস্থতা বাণিজ্যে চীন বিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থানে। সোজা কথায়, প্রত্যক্ষভাবে উৎপাদন না করেও শুধুমাত্র অর্ডার নেওয়া এবং সাপ্লাই করা—এই পন্থায় চীন বিশ্বজুড়ে বিপুল বাণিজ্য করে। এই বাণিজ্যে ভারত সেভাবে সফল নয়। এর অন্যতম কারণ, ভারতের নিজস্ব আন্তর্জাতিক পরিবহণ ব্যবস্থা, সমুদ্রপথে স্বাবলম্বী সরবরাহ চেইন, নেটওয়ার্ক এবং শুল্ক নিয়ে নরম মনোভাব কোনওটাই নেই। তাই নীতি আয়োগ বলেছে, ভারতকে এখনই শুল্ক নিয়ে বাস্তব পথে এগোতে হবে। যেখানে লাভ বেশি সেখানে শুল্ক কমাতে হবে। 

    নীতি আয়োগ এই প্রথম মুখ খুলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে। ভারত সরকার তো বটেই,  রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত সেক্টরগুলিকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক যথেষ্ট উদ্বেগজনক। নভেম্বর মাসের মধ্যে যদি আমেরিকা এবং ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি হয়ে যায়, তাহলে মার্কিন বর্ধিত শুল্ক সেভাবে প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু যদি নভেম্বর মাসের মধ্যেও ওই চুক্তি না হয়, তাহলে বাণিজ্য ক্ষেত্রে বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সুব্রহ্মণ্যম বলেছেন, ৫০ শতাংশ শুল্ক সহজ কথা নয়। প্রবল বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। আমাদের আরও বেশি করে পণ্য চীনে রপ্তানি করতে হবে।

    অন্যদিকে এদিনই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হোক আমরাও চাই। দ্রুতই চা‌ই। তবে দু’পক্ষের নিজস্ব কিছু শর্ত আছে। সেই শর্তগুলির সঙ্গে আপস করা যায় না। আলোচনা চলছে সেই নিয়েই। আশা করা হচ্ছে সেই সমাধানসূত্র মিলবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)