বেঙ্গালুরু: নাবালকদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার হার ক্রমশ বাড়ছে বিভিন্ন শহরে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) ২০২৩ সালের যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নাবালকদের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি রাজধানী বলে পরিচিত বেঙ্গালুরু। ২০২৩ সালে এই শহরে ৪২৭টি অপরাধ ঘটিয়েছে নাবালকরা। ২০২১ ও ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৭৭ ও ২০০। তালিকায় বেঙ্গালুরুর আগে রয়েছে দক্ষিণ ভারতের অপর রাজধানী শহর চেন্নাই। সেখানে ২০২৩ সালে নাবালকরা মোট ৫২৩টি অপরাধ ঘটিয়েছে। অনেকটা পিছনে থাকলেও কলকাতাতেও এই ধরনের অপরাধ বেড়েছে। ২০২২ সালে কলকাতায় ৯টি অপরাধের সঙ্গে নাবালক যোগ পাওয়া গিয়েছিল। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৫। একমাত্র হায়দরাবাদে ছবিটা আলাদা। সেখানে নাবালকদের মধ্যে অপরাধ ২০২২-এর থেকে ২০২৩ সালে কমেছে।
নাবালকদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে একাধিক কারণ উঠে এসেছে। বেঙ্গালুরুর এক পুলিশকর্তার বক্তব্য, মিডিয়া ও সিনেমায় যেভাবে অপরাধকে ‘গৌরবান্বিত’ করে দেখানো হচ্ছে, তা কমবয়সিদের মধ্যে প্রভাব ফেলছে। তারাও বড়ো কিছু করে দেখানোর নেশায় ও পরিচিতি পেতে গুরুতর অপরাধ করে ফেলছে। ওই পুলিশকর্তা আরও জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দশম শ্রেণির পর যারা স্কুল ছেড়ে দিচ্ছে, তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বেশি। পারিবারিক সমস্যা, আর্থিক অনটন, বেকারত্ব থেকে রেহাই পেতে টিনএজাররা দুষ্কৃতীদের দলে ভিড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ আবার বিচার ব্যবস্থার দিকেও আঙুল তুলেছেন। তাঁদের মতে, নাবালকদের ছোটোখাটো অপরাধে গ্রেফতার করা হলে, তারা অন্য অপরাধীদের সঙ্গে মিশে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে। পরে ছাড়া পেয়ে বড়ো অপরাধ করছে। প্রথমবার যারা অপরাধ করছে, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ও কাউন্সেলিং করে চাকরির উপযুক্ত করলে সমস্যা মিটতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।