জোরশিমূলি গ্রামে জলঢাকার জলে ভেসে যাওয়া দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার
বর্তমান | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: জলঢাকার জলস্রোতে মাথাভাঙা-১ ব্লকের জোরশিমূলি গ্রাম বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে। রবিবার জলঢাকায় তলিয়ে যাওয়া দু’জনের সন্ধান মিলেছে সোমবার। এদিন বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ বালক মৃন্ময় বর্মনের মৃতদেহ। বিকেলে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা তল্লাশি চালানোর পর দয়ারাম বর্মনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। মাথাভাঙা পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে জলঢাকা নদীর জলোচ্ছ্বাসে মাথাভাঙা-১ ব্লকের কেদারহাট গ্রামপঞ্চায়েতের জোরশিমূলি গ্রাম জলের তলায় চলে যায়। নদীর জল নামতেই এদিন বাড়িতে ফেরেন বাসিন্দারা। রবিবার নদীর জল বাড়ার সময়ে গ্রাম থেকে উঁচু স্থানে যাওয়ার সময়ে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল নয় বছরের বালক মৃন্ময় বর্মন ও ৬২ বছরের বৃদ্ধ দয়ারাম বর্মন। ছেলেকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা জয়ন্তী বর্মন। তিনি বলেন, ছেলে ভেসে যাচ্ছে সেটা দেখার পরও ওকে কেউ বাঁচাতে আসেনি। আমার ছেলেটা আর মা বলে ডাকবে না। অন্যদিকে, গ্রামে জল বেড়ে যাওয়ায় গবাদিপশু নিয়ে নিরাপদ জায়গায় যাচ্ছিলেন দয়ারাম বর্মন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি কালভার্টের কাছে জলের তোড়ে ভেসে যান তিনি। তার পর থেকেই তাঁর খোঁজ মেলেনি। এদিন বিকেলে দয়ারামকে খুঁজতে তল্লাশি শুরু করে সিভিল ডিভেন্স। পরে তাঁর সন্ধান মেলে।
এব্যাপারে মাথাভাঙা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সমরেন হালদার বলেন, জোরশিমূলি গ্রামে জলঢাকা নদীর জলের তোড়ে ভেসে যাওয়া একটি বালক ও একজন বৃদ্ধের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দু’টি ঘটনায় মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এদিন স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের তরফে জোরশিমূলি গ্রামে ত্রাণ দেওয়া হয়। শোকস্তব্ধ মৃন্ময় বর্মনের পরিবার। - নিজস্ব চিত্র।