• বন্ধ গোরুমারা জলদাপাড়াও, পাহাড় থেকে নামানো হচ্ছে পর্যটকদের
    বর্তমান | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের দুই জাতীয় উদ্যান। গোরুমারায় জঙ্গল সাফারির উপর জারি করা হয়েছে আংশিক নির্দেশিকা। নিরাপত্তার স্বার্থে আপাতত জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানেও পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ! যাত্রাপ্রসাদ ও চাপড়ামারি ওয়াচ টাওয়ার অবশ্য খোলা থাকছে। কিন্তু পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মেদলা। সোমবার জলদাপাড়ায় যান রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। দুর্যোগের জেরে জঙ্গলে বন্যপ্রাণীরা কতটা বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে, সেব্যাপারে খোঁজখবর নেন। আগামী কয়েকদিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পর্যটকদের জঙ্গলে প্রবেশের ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জলদাপাড়ার ডিএফও প্রবীণ কাসোয়ান।

    বিপর্যয়ের জেরে পাহাড়ে পর্যটকদের ‘সেফ ট্রাভেলের’ পরামর্শ দিয়েছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, মিরিক সহ পাহাড়ের বিভিন্ন অফবিট ডেস্টিনেশনে আটকে পড়া পর্যটকদের সমতলে নামিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। এদিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার পর্যটককে শিলিগুড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। বাড়ি ফেরার জন্য মরিয়া তাঁরা। অনেকেরই রবিবার ট্রেনে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু গাড়ি না পেয়ে কিংবা চড়া ভাড়ার কারণে পাহাড় থেকে নামতে পারেননি। কারও আবার প্ল্যান ছিল আরও কয়েকটা দিন পাহাড়ে কাটানোর। কিন্তু বিপর্যয়ের জেরে এই মুহূর্তে তাঁরা আর থাকতে চাইছেন না। ফলে প্রশাসনের উদ্যোগে এদিন গাড়ি মিলতেই তড়িঘড়ি নেমে আসেন। তবে, পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় এখনও কিছু পর্যটক রয়েছেন। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ অবশ্য স্বেচ্ছায় পাহাড়ে থেকে গিয়েছেন বলে প্রশাসনের দাবি।

    বির্পযয়ে নিখোঁজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া হিমাদ্রি পুরকায়েতের হদিশ এখনও মেলেনি। তাঁর বাড়ি ডায়মন্ড হারবারে। বালাসন নদীর ধারে, লোয়ার সোনাদায় একটি হোম স্টেতে ছিলেন তিনি। বিপর্যয়ের জেরে এদিন সকালে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে আসা ট্রেনগুলিতে সেভাবে পর্যটকের দেখা মেলেনি সোমবার। ভরা মরশুমে পাহাড়ে ঘোর বিপর্যয়, ডুয়ার্সেও জলদাপাড়া ও গোরুমারায় জঙ্গল সাফারিতে নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে চরম সঙ্কটে উত্তরের পর্যটন শিল্প।

    জলদাপাড়ায় জলের তোড়ে সাফারির রুটগুলি ক্ষতিগ্রস্ত। ভেঙেছে জঙ্গলের ভিতরে দু’টি কাঠের সেতুও। ফলে আপাতত বন্ধ হাতি ও কার সাফারি। বন্যপ্রাণীদের তৃণভূমি ঢাকা পড়েছে ভুটানের ডলোমাইট মিশ্রিত পলিতে। জলদাপাড়ায় তিনটি গন্ডার ভেসে যায়। এর মধ্যে দু’টি জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে ও একটি কোচবিহারে রয়েছে। বক্সাতেও সাফারি রুট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বন্ধ কার সাফারি।   
  • Link to this news (বর্তমান)