পাট্টার দাবিতে অনশনে বসার হুঁশিয়ারি ভূতনির কালুটোনটোলা এবং কেশরপুরের বাসিন্দাদের
বর্তমান | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, মানিকচক: ভূতনিতে পাট্টার দাবিতে অনশনে বসার হুঁশিয়ারি ভাঙনে ভিটেমাটি হারানো কালুটোনটোলা ও কেশরপুরের বাসিন্দাদের। আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ না করলে ভূতনির রিং বাঁধে অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গঙ্গাপাড়ের বাসিন্দারা।
ভূতনিতে গঙ্গা ভাঙনে নিশ্চিহ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা। জমি হারানোর পাশাপাশি ভিটেমাটি হারিয়ে ভূমিহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন বহু মানুষ। এবছরের ভাঙনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কালুটোনটোলা, কেশরপুর, বসন্তটোলা, পশ্চিম রতনপুর গ্রাম। গঙ্গার গ্রাসে সম্পূর্ণ কালুটোনটোলা। এই পরিস্থিতিতে শতাধিক পরিবার দু’মাস ধরে আশ্রয় নিয়েছেন কেশরপুর রিং বাঁধের উপর। রাজ্য সরকার কালুটোনটোলার প্রায় ৪৬ জন ভূমিহীনদের পাট্টা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পাট্টা নেওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু ভাঙন কবলিত এলাকায় পাট্টার জমি চিহ্নিত করায় পাট্টা নিতে অস্বীকার করেন দুর্গতরা। সেসময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিকল্প জমির আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, একমাস পেরিয়ে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। ত্রাণ শিবিরে থাকা দুর্গতরা বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু অনেকের বাড়ি নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় তাঁরা রিংবাঁধেই পড়ে রয়েছেন। নিজের বাড়ি ফিরতে পারছেন না। ভাঙন কবলিত এলাকার বাইরের জমিতে পাট্টা দেওয়ার দাবিতে অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কালুটোনটোলার ৪৬টি পরিবার সহ কেশরপুরের বাসিন্দারা।
ববিতা মণ্ডল, খোদিয়া মাহাতরা বলেন, আমাদের কোনও জমি নেই। রাজ্য সরকার পাট্টার জমি দিতে উদ্যোগী হয়েছে। কিন্তু সেটি ভাঙন কবলিত এলাকায়। সেখানে বাড়িঘর তৈরি করলে ফের নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে। মাঝে বন্যা পরিস্থিতি এবং পুজো থাকায় আমরা চুপ ছিলাম। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা বিকল্প জমির দাবি জানাচ্ছি। নাহলে বাঁধে অনশনে বসব।
মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য জয়শ্রী মণ্ডল বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের প্রচেষ্টায় ভূতনির কেশরপুর, কালুটোনটোলা ও বসন্তটোলার প্রায় ৫৩৯ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের দ্রুত পাট্টা দেওয়া হবে। ভূমিদপ্তর তথ্য যাচাই শুরু করেছে। ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে যাতে দূরে জায়গা চিহ্নিত করে তাঁদের পাট্টা দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করছি। প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলছি।