তিন নদীর মিলনস্থল গোড়াহারে লক্ষ্মীর আরাধনা মহানন্দায় নৌকাবাইচ, পাড়ে মেলা
বর্তমান | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, ইটাহার: মহানন্দা, নাগর ও কুলিক নদীর মিলন স্থলে ইটাহারের প্রত্যন্ত গ্রাম গোড়াহারে সোমবার সন্ধ্যায় হল কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা। শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো আয়োজনে সহযোগিতা করেন এলাকার মুসলিমরাও।
এই পুজোর বিশেষ আকর্ষণ, লক্ষ্মীর সঙ্গে একই কাঠামোতে নারায়ণ ও সরস্বতীর আরাধনা। পুজোর পাশাপাশি দু’দিনের মেলা বসে। মহানন্দায় হয় নৌকাবাইচ। মেলায় আসেন বিহারের বাসিন্দারাও।
গোড়াহার গ্রামে হিন্দু পরিবার খুব কম। ফলে ১০৫ বছর পুরনো এই লক্ষ্মী পুজোয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন মুসলিমরাও। এভাবেই শতবর্ষ ধরে ধুমধাম করে হয়ে আসছে লক্ষ্মীর আরাধনা। গ্রাম ঘেঁষে বয়ে চলা মহানন্দার ওপারে বিহারের কাটিহার জেলার তারাপুর, মথুরাপুর, আবাদপুর। তাঁরাও এই মেলায় আসেন। পুজোর পরের দিন নৌকাবাইচের সঙ্গে বসে মেলা। মেলা চলে দু’দিন।
এখানে মহানন্দা নদীই বাংলা ও বিহার রাজ্যের সীমানা। নিরাপত্তার জন্য বহু বছর ধরে সীমানায় ছিল পুলিশ ক্যাম্প। তাই গ্রামে পুলিশের আনাগোনা ছিল অহরহ। সেসময় ইটাহার থানার তৎকালীন বড়বাবু নদীর পাড়ে লক্ষ্মী পুজো করার পরামর্শ দেন গ্রামবাসীদের। তারপর থেকে এখনও এই পুজো হয়।
বর্তমানে এই পুজো কমিটির সভাপতি নিত্যগোপাল দাস, সম্পাদক গৌতম কুমার সাহা, কোষাধ্যক্ষ জীতেন সাহা। জীতেন বলেন, এই পুজো সম্প্রীতির বার্তা বহন করে।
পুজো কমিটিতে কোনও মুসলিম না থাকলেও তাঁরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের কথায়, এলাকার ঐতিহ্যবাহী পুজো যাতে বন্ধ না হয়, সেজন্য আমরা পুজো কমিটিকে সহযোগিতা করি। নিজস্ব চিত্র