• কাটোয়ায় বিক্রেতাদের ফুল কেড়ে দাদাগিরি কংগ্রেস কাউন্সিলারের
    বর্তমান | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: কাটোয়া শহরে লক্ষ্মীপুজোর ফুল বিক্রি করতে এসে হেনস্তার শিকার হলেন গ্রামীণ এলাকার বিক্রেতারা। সোমবার শহরের স্টেশনবাজারে রাস্তার ধারে ফুল বিক্রি করতে তাঁদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল কংগ্রেস কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। এমনকী, তাঁদের হুমকি দিয়ে ফুল কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুজোর সময় থেকেই এই ঝামেলা চলছে। শহরের ফুল বিক্রেতাদের একাংশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

    এদিন বেশ কয়েকজন হকার কাটোয়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, পুজোর মরশুমে শহরের রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে বিক্রি করলেই ফুল ব্যবসায়ীদের একাংশ এসে কেড়ে নিচ্ছে। বাইরে থেকে এসে শহরে খুচরো ফুল বিক্রি করা যাবে না বলে তারা কার্যত ফতোয়া জারি করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সকালে কেতুগ্রাম, কৃষ্ণনগর, মুর্শিদাবাদের সালার এলাকা থেকে বহু হকার গাঁদা, পদ্মফুল বিক্রি করতে আসেন। প্রতি বছরই তাঁরা শহরে এসে ফুল বিক্রি করেন। অভিযোগ, শহরের কয়েকজন ফুল বিক্রেতা এসে তাঁদের কাছ থেকে ফুল কেড়ে নেয়। অভিযোগ, কংগ্রেস কাউন্সিলার রণজিৎ চট্টোপাধ্যায় দুঃস্থ বিক্রেতাদের কাছ থেকে ফুল কেড়ে নেন। ফুল বিক্রেতারা একজোট হয়ে রুখে দাঁড়ান। দু’পক্ষের বচসার জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ এসে ওই কাউন্সিলরকে ফুল ফেরত দিতে নির্দেশ দেন। পরে অবশ্য কাউন্সিলার ফুল ফেরত দেন। রণজিৎবাবু বলেন, কৃষ্ণনগর, সালার, কেতুগ্রাম এসব এলাকা থেকে কম দামে ফুল বিক্রি করে যায়। এতে কাটোয়া শহরের ফুল বিক্রেতাদের পেটে টান পড়ছে। তাই আমি ওদের ফুল কেড়ে নিয়েছিলাম।

    কাটোয়া শহরে ৩০জন ফুল বিক্রেতাকে নিয়ে ব্যবসায়ী সমিতি রয়েছে। তার সভাপতির পদে রয়েছেন ওই কংগ্রেস কাউন্সিলার। শহরের ফুল বিক্রেতাদের দাবি, বাইরে থেকে এসে পাইকারি দরে তাদের কাছেই ফুল বিক্রি করতে হবে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে খুচরো ফুল বিক্রি করা যাবে না। কেতুগ্রামের বাসিন্দা নির্মল দাস, সঞ্জয় দাস, অশোক দাস, কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা সঞ্জয় মোদক বলেন, আমরা গরিব ফুল বিক্রেতা। শুধু পুজোর মরশুমে ফুল বিক্রি করি। এতেই ওদের আপত্তি। ওরা কম দামে ফুল বিক্রি করতে দেবে না। উনি এসে ফুল কেড়ে নিয়েছিলেন। বাসিন্দারা বলেন, যে কেউ ব্যবসা করতে পারেন। এভাবে দাদাগিরি করা ঠিক নয়।  ঘটনাস্থলে পুলিশ।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)