থিম ‘শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা’, বারাসতের নবপল্লিতে কালীর এক অঙ্গে দুই রূপ
বর্তমান | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
শ্যামলেন্দু গোস্বামী, বারাসত: বারাসতের কালীপুজোর জৌলুস ধীরে ধীরে বাড়ছে। এ বছর সেই জৌলুস আরও এক ধাপ বাড়িয়ে এল বারাসতের নবপল্লি আমরা সবাই ক্লাব। এই পুজো এবার পদার্পণ করল নবম বর্ষে। এবার তাদের থিম, ‘শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা’। পৌরাণিক আবহ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ আলো। বিশেষ শিল্পকর্ম। সঙ্গে আধুনিক ভাবনা। এসবের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। সেটি প্রায় আকাশছোঁয়া। উচ্চতা ১২০ ফুট। চওড়াতেও কম নয়। প্রস্থে ১৭০ ফুট।
প্রতিবছর অভিনব থিম গড়ে নজর কাড়ে নবপল্লি। ছেলেদের বিদ্যালয় লাগোয়া মাঠে প্যান্ডেল তৈরি শুরু হয়ে গিয়েছে সাত অক্টোবর থেকে। কলোনি মোড় থেকে মাত্র পাঁচ মিনিট দূরে ক্লাবের অবস্থান। বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে এই ক্লাবের নাম প্রথমের দিকেই আসে। এখন জোরকদমে চলছে কাজ। পুরাণ অনুযায়ী, শ্রীকৃষ্ণের রাজ্য দ্বারকা ছিল ন্যায়, ধর্ম, প্রেম ও শান্তির প্রতীক। সেই পৌরাণিক রাজ্যকেই আধুনিক যুগে জীবন্ত করে তুলেছে এই ক্লাব। প্যান্ডেলের ভিতর তৈরি করা হয়েছে দ্বারকার সাত নগরী। প্রতিটির আলাদা নকশা। প্রতিটি অংশে সূক্ষ্ম নকশা। কোথাও কৃষ্ণলীলা, কোথাও গোপীদের আরাধনা, কোথাও ধর্মযুদ্ধের চিত্র। আলো-ছায়া ও শব্দপ্রেক্ষণে জীবন্ত হয়ে উঠেছে পরিবেশ। দর্শনার্থীরা এক পৌরাণিক জগতে পা দিয়ে ঢুকবেন পৌরাণিক কৃষ্ণরাজ্যে। বড় চমক মণ্ডপের ভিতরে। ১৫ ফুট উচ্চতার দেবী থাকবেন সিংহাসনে। সে মূর্তির অর্ধেক কালী আর অর্ধেক কৃষ্ণ। এই যুগল রূপ দেখবে মানুষ। উদ্যোক্তারা জানান, এই রূপের মাধ্যমে আমরা দেখাতে চেয়েছি শক্তি ও ভক্তি আলাদা নয়। কৃষ্ণের প্রেম আর কালীর তেজ একই শক্তির দুই প্রকাশ। বাঁশ, ফাইবার, দড়ি সহ অনান্য সামগ্রী দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। পুজো কমিটির অন্যতম কর্ণধার অরুণ ভৌমিক বলেন, ‘দ্বারকা শুধু থিম নয়। এটি এক দর্শন। যেখানে পুরাণ মিলেছে বর্তমানের সঙ্গে, আর শিল্প ছুঁয়ে গিয়েছে ভক্তির গভীরতাকে। প্যান্ডেল ১৭ অক্টোবর থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা। আশা করি, দর্শনার্থীদের মন কাড়বে আমাদের এই পুজো।’