• তৃণমূল কর্মীকে গুলির কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা, কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা
    বর্তমান | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: কেন গুলি করা হল কুলতলির তৃণমূল কর্মী সেলিম খাঁ কে? সঠিক উত্তর এখনও পায়নি পুলিশ। উঠে আসছে একাধিক কারণ। অনেকের মতে, জমি বিক্রির টাকার ভাগ ঘিরে সমস্যা শুরু। কেউ মনে করছেন, কবাডি খেলার চাঁদা দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোল? পুলিশ দুটি সম্ভাব্য কারণই খতিয়ে দেখছে। যদিও সেলিম খাঁর পরিবারের দাবি, এক সপ্তাহ আগে জমি বিক্রির টাকা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। তার জেরেই রবিবারের হামলা। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, কবাডি খেলার চাঁদা নিয়ে সম্প্রতি গণ্ডগোল হয়েছিল। তারপরে এই ঘটনা।  

    গুলি ছোড়ার ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ফুঁসছেন গ্রামের লোকজন। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার রাস্তা অবরোধ করেন বাসিন্দারা। তৃণমূল কর্মীর স্ত্রীর দাবি, পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারলে আমরাই আইন হাতে তুলে নেব। এদিকে, এদিন সকালে অবরোধের খবর পেয়ে বৃন্দাবনের খেয়াঘাট এলাকায় যান কুলতলির বিধায়ক গণেশ মণ্ডল। তাঁকে পেয়ে গ্রামের লোকজন দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। বিধায়ক তাঁদের আশ্বস্ত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক ও তিনটি বোমা উদ্ধার করেছে।

    সোমবার সকাল থেকে জালাবেড়িয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতের বৃন্দাবনের খেয়াঘাট এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। গভীর রাতে আহত তৃণমূল কর্মীকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর ডান কাঁধে গুলি রয়েছে। সূত্রের খবর, অস্ত্রোপচার করা হবে সেই জায়গা। সেলিমের প্রতিবেশীরা এদিন বলেন, চায়ের দোকানে কাজ করার সময় পরিকল্পনা করেই সেলিমের উপর হামলা করা হয়েছে। দুষ্কৃতীরা বাইকে তিন থেকে চারজন এসেছিল। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়। দু’টি গুলি লেগেছিল সেলিমের শরীরে। পালানোর সময় বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। জখম কর্মীর স্ত্রী মাসুদা বিবি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় তোলাবাজি চালাচ্ছে স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। জমি বিক্রি বা ঘর তৈরি করলে ওরা টাকা চাইত। আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। পুলিশকে জানিয়েও কাজ হয়নি।
  • Link to this news (বর্তমান)