• কিশোরীর মৃত্যুতে এলাকায় অভিযান, সল্টলেকে আবাসনের ভিতরেই মিলল ডেঙ্গুর লার্ভা!
    বর্তমান | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ২০২২ এবং ২০২৩ সালের তুলনায় সংক্রমণ কম হলেও সল্টলেকে ডেঙ্গু মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন শহরবাসী। নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দুপুরে ১৫ বছরের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে তার ঠিকানায়, বিধাননগরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইএসআই হাউজিং কমপ্লেক্সে অভিযান চালাল পুরসভা। পুরসভার দাবি, আবাসনের ভিতর থেকে ডেঙ্গু লার্ভাও মিলেছে। প্লাস্টিক বোতল, প্লাস্টিক গ্লাস, বিয়ারের বোতল সহ প্রচুর জায়গায় জমা জল ছিল। সেই জলেই মিলেছে লার্ভা। তবে, পুরসভার পক্ষ থেকে আবাসনের সমস্ত জায়গায় লার্ভা ও মশা মারার ওষুধ স্প্রে করা হয়েছে।

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক ডেঙ্গু রিপোর্ট করা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ এবং ২০২৩ সালে বিধাননগরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় চার হাজারে পৌঁছেছিল। কিন্তু, গত বছর মাত্র ৩৯০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। চলতি বছরে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যেই একজনের মৃত্যু হল। মৃতা কিশোরী রূপসী জানা (১৫) বিধাননগর পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইএসআই হাউজিং কমপ্লেক্সে থাকত। ওই ওয়ার্ডটি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদের ওয়ার্ড। ডেঙ্গু আক্রান্ত ওই কিশোরীকে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হয়েছিল। রবিরার দুপুরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

    পুরসভার দাবি, পুজোর সময় বৃষ্টি হয়েছে। ফি বছর পুজোর সময় ডেঙ্গু সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পায়। এবারও বেড়েছে। তবে, সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। দেখতে হবে যাতে কারও বাড়ির চত্বরে কাপ, গ্লাস, ডাবের খোলা, প্লাস্টিক প্যাকেট জাতীয় জিনিসপত্র পড়ে না থাকে। তাহলে সেখানে জল জমে ডেঙ্গুর লার্ভার জন্ম হতে পারে। এলাকাবাসীদের দাবি, শহরের বহু জায়গায় এই ধরনের জিনিসপত্রে জল জমে। পুরসভার উচিত নিয়মিত অভিযান চালিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা। তাহলে লার্ভার জন্ম হবে না। ডেঙ্গুও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর পুরসভা জানিয়েছে, রুটিনমাফিক অভিযান চলবে।
  • Link to this news (বর্তমান)