দাম কাঁদালেও বাজারে ভিড়, নাড়ু-পদ্ম কিনতে সকাল থেকেই দোকানে লাইন
বর্তমান | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সোমবার সকাল থেকেই কলকাতায় লক্ষীপুজোর বাজার করার ধুম। ফলে দিনভর বাজারে ভিড়। এদিনও অনেকে কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা কিনেছেন। পাইকারি সহ খুচরো ফুলের দোকানেও দেখা গিয়েছে ভিড়। একইসঙ্গে চিঁড়ে, মুড়কির দোকানে কেনাকাটা চলেছে। পুজোয় প্রয়োজন বলে নারকেল, চিঁড়ে, তিল, খইয়ের নাড়ু, কদমা কিনেছে মানুষ । ফল ও সবজির দাম ছিল চড়া। ভিড় দেখা গিয়েছে বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে। নারকেল ছাপা, রসগোল্লা, সন্দেশ, নাড়ুর চাহিদা ছিল। দশকর্মার দোকানেও দিনভর চলেছে কেনাকাটা।
শ্যামবাজার, বাগবাজার, মানিকতলা, শোভাবাজার, গড়িয়াহাট, বাগুইআটি, সল্টলেক, ধর্মতলা ইত্যাদি এলাকার ছোট বড় বাজারের একই ছবি। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় লুচি, সুজি, নারকেল নাড়ু, ফল ছাড়াও নিবেদন করা হয় খিচুড়ি, ভাজা, তরকারি, চাটনি ইত্যাদি। ফলে শহরের মুদির দোকান ও সবজি বাজারে ছিল কম‑বেশি ভিড়। এদিন বিভিন্ন গৃহস্থ বাড়িতে সত্যনারায়ণেরও আরাধনা হয়। সে পুজোয় দরকার পদ্মফুলের। খুচরো ফুলের দোকানে পদ্মফুলের দাম ছিল চড়া। এক পিসের দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
মানিকতলা বাজারে ফুল‑মালা কিনতে এসেছিলেন গোয়াবাগানের বাসিন্দা সমীরণ পাল। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন বাড়িতে সত্যনারায়ণের পুজো হয়। দেওয়া হয় সিন্নি। বেশি দাম দিয়েই পদ্ম কিনতে হয়েছে।’ সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়েক বলেন, ‘এবার বৃষ্টির কারণে দোপাটি, গাঁদা সহ বিভিন্ন ফুলচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে লক্ষ্মীপুজোয় কুচো ফুলের দাম ছিল চড়া। ২৫‑৩০ টাকার কমে ফুল বিক্রি হয়নি। প্রয়োজনের তুলনায় চাহিদা ছিল বেশি।’ যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা সোনালী মুখোপাধ্যায় গিয়েছিলেন বাগবাজারে। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে অষ্টধাতুর লক্ষ্মীপ্রতিমা রয়েছে। তার পুজো হয়। বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। ফলে অল্প করে কিনতে হল।’ কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী সমর পালের ঘর থেকে প্রতিমা কিনে বাড়ি ফিরছিলেন রবীন্দ্র সরণির বাসিন্দা সোমা দে। তিনি বলেন, ‘দিনভর পূর্ণিমা থাকায় রাতে পুজো হবে। দরদাম করে ১২০০ টাকায় প্রতিমা কিনলাম।’ -নিজস্ব চিত্র