দামোদরে ভেসে গিয়েছিলেন দুপুরে, সন্ধ্যায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হলেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধা!
আনন্দবাজার | ০৬ অক্টোবর ২০২৫
কথায় বলে, ‘রাখে হরি মারে কে’! পূর্ব বর্ধমানের ৬৫ বছরের বৃদ্ধা মাতুরি টুডু যেন সেটাই প্রমাণ করলেন আর এক বার। দামোদরে ভেসে গিয়েছিলেন তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ৪৫ কিলোমিটার দূরে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে তাঁকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ‘অলৌকিক।’ প্রাণ ফিরে পাওয়া মাতুরি জানান, কী ভাবে বেঁচে ফিরেছেন, তা নিজেই জানেন না।
রায়নার হিজলনা জাকতা গ্রামের বাসিন্দা মাতুরি। দামোদর নদে স্নান করা তাঁর অভ্যাস। রবিবার দুপুরে একাই গিয়েছিলেন দামোদরে। কিন্তু অঘটন ঘটায় নিম্নচাপের বৃষ্টি আর ডিভিসি থেকে ছাড়া জল। হঠাৎ দামোদরের স্রোত বেড়ে যায়। খড়কুটোর মতোই ভেসে গিয়েছিলেন এই বৃদ্ধাও।
দুপুর থেকে খোঁজ চলছিল। কিন্তু পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যায় মুইদিপুরের কাছে দামোদরে ‘বাঁচাও-বাঁচাও’ চিৎকার শুনে চমকে ওঠেন কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁরা দামোদরের ধারে গিয়ে দেখেন, জলের তীব্র স্রোতের সঙ্গে এক বৃদ্ধার মরিয়া লড়াই। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন জামালপুর থানায়। কিছু ক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এর পর স্থানীয়দের সহায়তায় মাতুরিকে উদ্ধার করে প্রথমেই নিয়ে যাওয়া হয় জামালপুর গ্রামীণ হাসপাতালে।
দীর্ঘ ক্ষণ জলে থাকার ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। এখন শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে তাঁর। বৃদ্ধার কথায়, ‘‘দামোদরে স্নান করতে নেমেছিলাম। হঠাৎ স্রোত বেড়ে যায়, আমি ভেসে যাই। কিছু একটা ধরে আটকে থাকতে পেরেছিলাম একটা সময়। তখনই গ্রামবাসীরা উদ্ধার করলেন।” এক নিঃশ্বাসে বলে গেলেন মাতুরি।
জলস্ফীতি কমতেই তোর্সায় ভেসে এল অজ্ঞাতপরিচয় জোড়া দেহ, বন্যার জলে ডুবে কোচবিহারে মৃত আরও দুই
জামালপুর থানার পুলিশ বৃদ্ধার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সোমবার বাড়ির লোকজন তাঁকে নিয়ে যান।