• বিসর্জনের পরে দূষণের আশঙ্কা বসিরহাটে
    আনন্দবাজার | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন পুকুর এবং নদীর জলে প্রতিমা বিসর্জনের ফলে জলদূষণের মাত্রা বাড়তে পারে বলে পরিবেশকর্মীদের আশঙ্কা। স্থানীয় পুরসভা এবং পঞ্চায়েতের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতীর জলে মূর্তির কাঠামো সরানোর ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে না। কোথাও আবার নদী এবং পুকুর পাড়ে উঁচু করে রাখা আছে প্রতিমার কাঠামো, পুজোর উপকরণ, ফুল, বেলপাতা। কয়েক দিন আগে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন এবং কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয় বসিরহাটের ইছামতী নদীতে। কয়েক দিন আগে প্রতিমা বিসর্জন হলেও নদীর বুকে এবং পাড়ে জমা করা সব কাঠামো না সরানোয় বাড়ছে দূষণ। রবিবার বসিরহাটের ইছামতী নদীর বোটঘাট চত্বর, শ্মশানঘাট চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, নদীর পাশে ডাঁই করে রাখা দুর্গা প্রতিমার কাঠামো। কাঠামোর সঙ্গে লেগে থাকা বিচুলি জলে ভিজে পচন ধরেছে। থার্মোকল ও পলিথিনের সাজসজ্জা নদীর জলে মিশে জল দূষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ অনেকের। অবিলম্বে নদী সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বসিরহাটের পুরপ্রধান অদিতি মিত্র বলেন, ‘‘পুরসভার পক্ষে ইতিমধ্যে বেশ কিছু কাঠামো জল থেকে তুলে ফেলা হয়েছে।’’ টাকি এবং বাদুড়িয়া পুর এলাকাতেও একই ভাবে পুকুর এবং নদীর পাড়ে জমে আছে কাঠামো। সে সব তোলার কাজ চলছে। টাকির পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আবর্জনামুক্ত করতে নদীর পাড় সাফ রাখার জন্য পুরকর্মীরা কাজ করছেন।’’ বাদুড়িয়ার উপপুরপ্রধান গৌতম সিংহের কথায়, ‘‘আমাদের এখানে বেশিরভাগ প্রতিমা একটি স্কুলের পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়। মেলা বসে। খাবারের প্লেট, কাগজ, থার্মোকোল পড়ে থাকে। তা পরিস্কার করে দ্রুত জল থেকে প্রতিমার কাঠামো ও সামগ্রী তুলে ফেলা হবে।’’ বসিরহাটের বিজেপি নেতা সুকল্যাণ বৈদ্যের প্রতিক্রিয়া, ‘‘প্রতিমা বিসর্জনের পরে দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ প্রশাসন। অবিলম্বে ইছামতীকে বাঁচাতে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)