• ফুলচাষের উৎকর্ষ কেন্দ্র হবে দার্জিলিং ও নদীয়ায়, নতুন পরিকল্পনা রাজ্যের, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ
    বর্তমান | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফুলচাষের জন্য দু’টি উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা করেছে রাজ্যের উদ্যানপালন দপ্তর। একটি হবে নদীয়ায়, অন্যটি হবে দার্জিলিংয়ে। নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এখানে ফুল চাষ সংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার কথা ভেবেছে রাজ্য। এ বিষয়ে কথাবার্তা অনেকটা এগিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি চূড়ান্ত হলে আধুনিক পদ্ধতিতে ফুল চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

    বিভিন্ন জেলায় গাঁদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা, অর্কিড সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলচাষ হয়। তবে চাষিরা পুরোদস্তুর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তা করেন না। কোন ফুল গাছের জন্য সার কতটা লাগবে, বীজ লাগানোর আগে জমি কীভাবে তৈরি করতে হবে, তা অনেকে না জেনেই ফুলচাষ করেন। এর ফলে উৎপাদন মার খায়। যার প্রভাব পড়ে রপ্তানিতে। আগামী দিনে যাতে ফুলের উৎপাদন বাড়ে এবং বেশি পরিমাণ ফুল রপ্তানি করা করা যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপাতত দার্জিলিংয়ের মংপু এবং নদীয়ার আয়েশপুরে এই উৎকর্ষ কেন্দ্র স্থাপন করার ভাবনা রয়েছে রাজ্যের। জানা গিয়েছে, দু’টি জায়গাতেই ২০ একরের মতো জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন, হাওড়া কিংবা মেদিনীপুর, যেখানে ফুল চাষ বেশি হয়, সেখানে কেন উৎকর্ষ কেন্দ্র করার কথা ভাবা হল না? দপ্তরের দাবি, নদীয়া ও দার্জিলিংয়ে সরকারি জমি রয়েছে বলেই সেখানে ওই কেন্দ্র স্থাপন করার কথা হয়েছে। তবে রাজ্যের যে কোনও প্রান্ত থেকে ফুলচাষিরা সেখানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।

    তবে শুধু উৎপাদন বা বিপণন করাই নয়, ফুল থেকে তেল, সুগন্ধি প্রভৃতি বানানোর পরিকাঠামো তৈরি হবে এই উৎকর্ষ কেন্দ্রে। চলতি মাসেই নেদারল্যান্ডস থেকে বিশেষজ্ঞদের দু’টি দল আসার কথা রয়েছে নদীয়া ও দার্জিলিংয়ে। তাঁরা সেখানকার পরিবেশ, আবহাওয়া, মাটি ইত্যাদি খতিয়ে দেখবেন। কী পদক্ষেপ করলে ফুলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, তা নিয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে। কী ধরনের মেশিন ব্যবহার করা যেতে পারে, কী কী পরিকাঠামো দরকার, সে সব বিষয়েও পরামর্শ দেবেন ওই বিশেষজ্ঞরা। এমন উদ্যোগ রাজ্যে এই প্রথম। এই ইন্দো-ডাচ যৌথ প্রয়াস সফল হলে ফুল চাষিদের আগামী দিনে উপকার হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)