সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক দল ‘জন সুরজ’ পার্টি তৈরির পর এবার ভোট যুদ্ধে ডেবিউ হতে চলেছে প্রশান্ত কিশোরের। বিহারে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর জন সুরজ দলের প্রধান পিকে জানালেন, এবারের নির্বাচনে ২৪৩টি আসনেই প্রার্থী দেবে তাঁর দল। তিনি নিজেও প্রার্থী হয়ে লড়াইয়ে নামবেন। শুধু তাই নয়, আগামী ৯ অক্টোবর দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে ঘোষণা করলেন পিকে।
সোমবার কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, বিহারে এবার বিধানসভা নির্বাচন হবে দুই দফায়। প্রথম দফার ভোট ৬ নভেম্বর ও দ্বিতীয় দফা ১১ নভেম্বর। ভোট গণনা হবে ১৪ নভেম্বর। নির্বাচনের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ হবে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। এই পরিস্থিতিতেই সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “আগামী ৯ অক্টোবর দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই তালিকা চমকে দেবে বিহারবাসীকে। তালিকায় আমার নামও থাকছে।” যদিও ঠিক কোন আসন থেকে তিনি প্রার্থী হবেন তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি। তবে অনুমান করা হচ্ছে, রঘুপুরের মতো হাইপ্রোফাইল আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন তিনি। যেখান থেকে রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। বিহারের ২৪৩টি আসনেই যে তাঁর দল প্রার্থী দিতে চলেছে সে কথাও জানান পিকে।
জন সুরজের জয়ের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রশান্ত কিশোর বলেন, তাঁর দল এবার ২৮ শতাংশ ভোট পেতে চলেছে। এবং এই ২৮ শতাংশ ভোটার এমন ভোটার যারা এনডিএ বা মহাজোটকে ভোট দেন না। পিকে বলেন, “গত নির্বাচনে উভয় জোট মাত্র ৭২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, তাই আমি নিশ্চিত যে আমরা বাকি ২৮ শতাংশ পাবই।” প্রশান্ত কিশোর আরও জানান, এই নির্বাচনের পর নীতীশ কুমার আর মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। তাঁর কথায়, “আমি পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সাথে বলছি যে এটি নীতীশ কুমারের শেষ নির্বাচন এবং তিনি ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে তাঁর বাসভবন, এক আনে মার্গে মকর সংক্রান্তি উদযাপন করবেন না।”
কমিশনের ঘোষণার ঘণ্টাখানেক পরই সোমবার প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে আম আদমি পার্টি। আপের তরফে জানানো হয়েছে, আপ এবার বিহার নির্বাচনে ২৪৩টি আসনে নিজেদের প্রার্থী দেবে। অভিবাসন, বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতির মতো সমস্যাগুলির বিরুদ্ধে লড়াই হবে আপের নির্বাচনী মন্ত্র। সেই লক্ষ্যেই প্রথম দফায় ১১টি কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ডাঃ মীরা সিং (বেগুসরাই), যোগী চৌপাল (দ্বারভাঙার কুশেশ্বরস্থান), অমিত কুমার সিং (সরনের তারাইয়া), শুভদা যাদব (মধুবনীর বেনিপট্টি), অরুণ কুমার রজক (পাটনার ফুলওয়ারী শরীফ), ডাঃ পঙ্কজ কুমার (পাটনার বাঁকিপুর), আশরাফ আলম (কিশানগঞ্জ)।