• খগেন মুর্মুর আঘাত গুরুতর, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব লোকসভার স্পিকারের
    এই সময় | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • উত্তরবঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে হামলার শিকার হন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলের মুখ্যসচেতক শঙ্কর ঘোষ। সেই ঘটনার পরে ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনায় এ বার রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে আসেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই তিনি সতর্ক করেন, দ্রুত রিপোর্ট না দিলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

    সূত্রের খবর, বিজেপি সাংসদের চোখ ও নাকের আঘাত গুরুতর। হাড় ভেঙেছে। একাধিক সেলাইও পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি তিনি। তবে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। সূত্রের দাবি, মুখে পাত বসানো হতে পারে সাংসদের। আপাতত কথা বলা বারণ তাঁর।

    সোমবার প্লাবিত নাগরাকাটার বামনডাঙা এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হন খগেন মুর্মু ও শঙ্কর ঘোষ। একদল যুবক তাঁদের ঘিরে ধরেন। তাড়া করে নিয়ে যান গাড়ি পর্যন্ত। সেই গাড়িতে ওঠার সময়েই খগেনকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তাতেই রক্তে ভাসতে থাকে সাংসদের মুখ, শরীর। শঙ্কর ঘোষের গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়।

    ঘটনার পরেই শঙ্কর ঘোষ দাবি করেন, এই কাজ ‘দিদির সৈনিক’দের। পাল্টা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ প্রশ্ন তোলেন, ঘটনার সময়ে কাউকে তৃণমূলের পতাকা হাতে দেখা যায়নি। সাংসদ বা বিধায়ক, কেউ-ই নাগরাকাটার বাসিন্দা বা জনপ্রতিনিধি নন। তা হলে কী করে বুঝলেন বিক্ষোভকারীরা তৃণমূলের?

    ঘটনার নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আমাদের দলের সাংসদ, বিধায়ক আক্রান্ত হলেন। এই ঘটনা তৃণমূলের অমানবিক চেহারা ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।’

    পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও লেখেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে রাজনীতি করছেন, তা দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। প্রমাণিত তথ্য, তদন্ত, প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়াই তিনি রাজ্য ও তৃণমূলকে দোষারোপ করছেন।’ তবে এই ঘটনার রেশ বহুদূর যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।

  • Link to this news (এই সময়)