পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি, ওড়িশায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডে খুন বিজেপি নেতা
আজকাল | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওড়িশার বেরহামপুরে সোমবার রাতে গুলি করে খুন করা হয়েছে এক বিজেপি নেতাকে। নৃশংস হত্যাকাণ্ডে এলাকায় ব্যাপতক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতা ওই মৃতের নাম পিতাবাস পাণ্ডা, যিনি পেশায় আইনজীবী এবং ওড়িশা স্টেট বার কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত প্রায় ১০টার সময় বৈদ্যনাথপুর থানার অন্তর্গত ব্রাহ্মণনগর এলাকায় তাঁর বাড়ির সামনে দুই অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী মোটরবাইকে এসে গুলি চালায়। গুলিটি পাণ্ডার বুকে লাগে। স্থানীয়রা তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এমকেসিজি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পিতাবাস পাণ্ডা কয়েক বছর আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তিনি বেরহমপুর শহর ও গঞ্জাম জেলার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সরব থাকার জন্য পরিচিত ছিলেন। ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত হামলার কারণ স্পষ্ট নয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, ঘটনার সময় বেরহামপুরের পুলিশ সুপার সরবণা বিবেক ও বৈদ্যনাথপুর থানার আইসি সুচিত্রা পারিদা ছুটিতে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের বাণিজ্য ও পরিবহনমন্ত্রী বিভূতি ভূষণ জেনা এবং একাধিক বিজেপি নেতা খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন।
তিনি বলেন, ‘পিতাবাস পাণ্ডা ছিলেন সাহসী ও জনপ্রিয় নেতা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি নিয়মিত সরব থাকতেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। উল্লেখ্য, সোমবার পশ্চিমবঙ্গের মালদায় বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন দুই হেভিওয়েট বিজেপি নেতা। বন্যার জেরে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের বামনডাঙা চা বাগানে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও গেরুয়া শিবিরের আরেক বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বিক্ষোভ চলাকালীন খগেন মুর্মুর মাথা ফেটে যায়। সেই সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় শঙ্কর ঘোষকে। বাসিন্দাদের বলতে শোনা যায়, পাঁচ বছর পর আজ কেন খোঁজ নিতে এসেছেন। চিকিৎসার জন্য দ্রুত সাংসদকে নিয়ে এলাকা ছাড়েন শঙ্কর।
জানা গিয়েছে, এদিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাওয়ার পরেই স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ ও বিধায়ক। প্রথমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও তাঁদের সেই প্রয়াস কাজে আসেনি। ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে থাকে। মারমুখী হয়ে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। এমনকী তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ শঙ্কর ঘোষকে জুতো নিয়ে তেড়ে যান বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে দুই নেতাই গাড়িতে উঠে পড়েন। আহত খগেন মুর্মুকে নিয়ে যাওয়া হয় চালসা মঙ্গলবাড়ির একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শিলিগুড়িতে।