রাত হলেই বিছানায় ধীরে ধীরে সাপ হয়ে যান স্ত্রী, তারপরেই স্বামীকে ছোবল! বন্ধ ঘরের চমকে ওঠা তথ্য ফাঁস ব্যক্তির
আজকাল | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিনেমা, সিরিয়াল, নানা জায়গায় এই ঘটনা দেখানো হয়েছে আগেও। বিশেষ সময়ে, কিংবা প্রয়োজনে একজন মানুষ, সাপ হয়ে যাচ্ছেন ধীরে ধীরে। তারপরেই প্রতিশোধের পালা। কিন্তু তাই বলে একেবারে বাস্তবে? রাত হলেই স্ত্রী ধীরে ধীরে পরিণত হন সাপে? তেমনই দাবি করেছেন উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তি। অভিযোগ শুনে হতবাক স্থানীয়রা। সংবাদ মাধ্যমে তাঁর বক্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই হুলস্থুল। উত্তর প্রদেশের সীতাপুর জেলার ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, বিছানায় স্ত্রী কেবল সাপেই পরিণত হন না, তাঁকে ছোবলও মারেন।
ঘটনাটি সামনে আসে সমাধান দিবসের দিন। সমাধান দিবস, যা স্থানীয় ভাষায় জন অভিযোগ দিবস বলেও পরিচিত। যেখানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্থানীয়রা নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা জানান। সেখানে যখন বাসিন্দারা সাধারণত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট এবং রেশন কার্ড সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে যান, তখন মাহমুদাবাদ এলাকার লোধসা গ্রামের বাসিন্দা মেরাজ এই অভিযোগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তথ্য, মেরাজ নামের ওই ব্যক্তি একপ্রকার আতঙ্কের সঙ্গেই জানান, 'স্যার, আমার স্ত্রী নাসিমুন রাতে সাপে পরিণত হয় এবং আমাকে কামড়ানোর জন্য আমার পিছনে দৌড়ায়।'
স্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ মেরাজের। তিনি সমস্যা সমাধানে অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রী আগেও একাধিকবার তাঁকে মারার চেষ্টা করেছেন। রাতের অন্ধকারে, তিনি সারাদিনের কাজ-কর্মের পর ঘুমিয়ে পড়লেই, নানা ভাবে চেষ্টা চলে ঘরের ভিতর। তবে তার আগে, প্রতিবারই তিনি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠে পড়ায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন বলে দাবি। অভিযোগ, 'আমার স্ত্রী আমাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করে এবং আমাকে ঘুমন্ত অবস্থায় যে কোনও রাতে খুন করতে পারে।'
এই অভিযোগের কাহিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে বহু মানুষ এই বক্তব্যটি শেয়ার করেছেন। অনেকেই সেখানে নানা রকম কমেন্ট করে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী অর্থাৎ নেটিজেন লিখেছেন সেখানে, 'কে জানে সে কাকে কামড়াচ্ছে।' একজন আবার এই অভিযোগে হকচকিয়ে গেলেও বেশ সরস মন্তব্য করেছেন। প্রশ্ন করেছেন, 'তুমি কি তাঁর নাগমণি কোথাও লুকিয়ে রেখেছ?'
একজন আবার লিখেছেন, স্ত্রী যখন রাত হলেই ধীরে ধীরে সাপ হয়ে যাচ্ছেন, তখন এই পরিস্থিতিতে ওই ব্যক্তিরও কোবরা হওয়া উচিত। লিখেছেন- 'আপনারও কোবরা হওয়া উচিত।' অনেকেই আবার শ্রীদেবীর ১৯৮৬ সালের করা ছবির কথা উল্লেখ করেছেন। একজন তো লিখেছেন, 'লোকটি খুব ভাগ্যবান। তিনি তাঁর বিবাহিত জীবনে শ্রীদেবীকে খুঁজে পেয়েছেন।'
মেরাজ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন এই বিষয়ে। অভিযোগ পাওয়ার পর, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তথ্য, সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর, অনেকেই মনে করছেন এটি দীর্ঘকালীন মানসিক হয়রানির ফলাফল।