• ১৯৭১-এ চার লক্ষ গণধর্ষণ, বিশ্বমঞ্চে ফের পাকিস্তানের নাকে ঝামা ঘষলো ভারত!
    আজকাল | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৯৭১ সালে অপারেশন সার্চলাইটের সময় ৪,০০,০০০ জন নারীর উপর গণহত্যার অভিযোগে ভারত রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করেছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের একবার পাকিস্তানের নাকে ঝামা ঘষে কাশ্মীরি নারীদের "দুর্দশার" কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে নয়াদিল্লি।

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নারী ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিতর্কের সময় ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পার্বথানেনী হরিশ পাকিস্তানের "ভ্রান্তিমূলক বক্তব্য", বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে অব্যাহত রাখার জন্য তীব্র সমালোচনা করেন।

    হরিশ বলেন, "নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক আমাদের অগ্রণী রেকর্ড নির্দোষ এবং অক্ষত। প্রতি বছর পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর এবং অতিরঞ্জিত বক্তব্য পেশ করে। এই একই দেশ যারা দেশের মানুষের উপর বোমাবর্ষণ করে এবং গণহত্যা চালায়। ভারত বলেছে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।"

    রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীরি মহিলাদের সম্মান নিয়ে সরব হয়েছিলেন পাক প্রতিনিধি সাইমা সালেম। হরিশ স্মরণ করিয়ে দেন যে, কীভাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পরাধীন বাংলাদেশে চার লাখ মহিলাকে ধর্ষণ করেছিল। তিনি কটাক্ষ করেন, দুর্ভাগ্যবশত প্রতি বছর ভারতকে নিয়ে পাকিস্তানের বিভ্রান্তিকর এবং বিভিন্ন বাজে কথা শুনতে হয়। বিশেষত জম্মু ও কাশ্মীরের সুরক্ষা ও গণ-অধিকার নিয়ে মন্তব্য করে থাকে পাকিস্তান। যা পুরোপুরি ভারতের অখণ্ড অংশ। কিন্তু তা নিয়ে আকাশ-কুসুম স্বপ্ন দেখে পাকিস্তান। তাঁর কথায়, নারী, শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের রেকর্ড নিষ্কলঙ্ক এবং অক্ষত।

    অপারেশন সার্চলাইটরাষ্ট্রসংঘে ভারতীয় প্রতিনিধি ১৯৭১ সালের অপারেশন সার্চলাইটের কথা তুলে ধরেন, যে সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালিদের বিরুদ্ধে নৃশংস দমন-পীড়ন চালায়। এই অভিযানের সময় লক্ষ লক্ষ নারীকে আটক করা হয়েছিল এবং নৃশংস  অত্যাচার চালানো হয়।

    এই অভিযানের তত্ত্বাবধান করেছিলেন পাকিস্তানের কুখ্যাত সামরিক কমান্ডার জেনারেল টিক্কা খান, যাঁকে 'বাংলার কসাই' ডাকনাম দেওয়া হয়েছিল।

    ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বর্বরতাগুলি ঘটেছিল, যার ফলে অবশেষে বাংলাদেশ গঠিত হয় কারণ পাকিস্তান পরাজয় স্বীকার করে এবং ঢাকায় নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে।

    এই ধরণের ঐতিহাসিক লঙ্ঘন তুলে ধরে হরিশ জোর দিয়ে বলেন যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পাকিস্তানের ভুয়ো প্রচারের বিষয়টি বুঝতে পেরেছে।
  • Link to this news (আজকাল)