• সর্বনাশ! জীবনসঙ্গী খুঁজতে গিয়ে সর্বস্বান্ত ৫৯ বছরের প্রৌঢ়া, ম্যাট্রিমনি সাইটের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে ...
    আজকাল | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ম্যাট্রিমনি সাইটে জীবনসঙ্গী খুঁজতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হলেন ৫৯ বছরের এক মহিলা। যোগ্য জীবনসঙ্গী খুঁজতে গিয়ে কোটি কোটি টাকা খোয়ালেন তিনি। অবশেষে থানায় ছুটলেন তিনি। যদিও এখনও পর্যন্ত টাকা ফেরৎ পাননি। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহিলার বয়স ৫৯ বছর। তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষিকা। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু কেউই তাঁর কাছে থাকেন না। একাকিত্ব দূর করতেই জীবনসঙ্গী খুঁজছিলেন তিনি। সেই কারণেই ম্যাট্রিমনি সাইটে নাম রেজিস্টার করেন। জীবনসঙ্গী খুঁজতে গিয়েই প্রায় আড়াই কোটি টাকা খুইয়েছেন তিনি। 

    পুলিশকে ওই মহিলা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে ডিসেম্বর মাসে ম্যাট্রিমনি সাইটে আহান কুমার নামের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সেই যুবক আদতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। তিনি থাকতেন অ্যাটলান্টায়। পেশায় ওই যুবক ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। ইস্তানবুল, তুরস্কে তিনি কাজ করতে যেতেন। ক্রমেই ওই মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে যুবকের। কয়েক মাস পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সময় মহিলাকে নিজের স্ত্রী বলে ডাকতে শুরু করেন যুবক। 

    মহিলা আরও জানিয়েছেন, ক্রমশ সম্পর্ক আরও গভীর হয়। প্রায়ই ফোন করে যুবক খোঁজখবর নিতেন। স্ত্রী বলেও ডাকতেন। স্বামীর মতোই খেয়াল রাখতেন। যুবকের আচরণে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে মহিলার থেকে খাবার কেনার টাকা চান যুবক। তখন থেকেই নানা অজুহাতে মহিলার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাইতে শুরু করেন যুবক। কখনও খাবার কেনার, কখনও ওষুধের জন্য, কখনও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য। 

    সেই থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা যুবককে অনলাইনে পাঠিয়েছিলেন মহিলা। অনুরোধ করা সত্ত্বেও যুবক একটি টাকাও ফেরত দেননি। উল্টে সম্প্রতি আরও সাড়ে তিন লক্ষ টাকা চেয়েছেন। অবশেষে ৩ অক্টোবর থানায় এফ আই আর দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, ম্যাট্রিমনি সাইটে আলাপের পর অতীতেও ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন আরও অনেকে। 

    সানাই বাজছে বিয়ের আসরে। কিছুক্ষণেই শুরু বিয়ের আচার। পার্লারে সাজগোজ করছিল কনে। তখনই ঘটল বিপত্তি। পার্লারে ঢুকেই কনেকে হাতকড়া পরিয়ে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। ঘটনায় সকলে হকচকিয়ে যান। এদিকে পাত্রকে এক বিরাট বিপদ থেকে বাঁচাল পুলিশ। আসল ঘটনা জানার পরেই সকলের চক্ষু চড়কগাছ। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে তিরুবনন্তপুরমে। শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, পাত্রীর গতিবিধি দেখে আগেই সন্দেহ হয়েছিল পাত্রের। শুক্রবার তিনিই পুলিশে খবর দেন। শনিবার পার্লারে বিয়ের সাজগোজ করছিল ওই তরুণী। তখনই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পার্লার থেকে সোজা তাকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। সেখানেই ফাঁস হয় তার আসল কীর্তি। 

    পুলিশ জানিয়েছে, তরুণী বিবাহিত এবং দুই সন্তানের মা। 

    ৩০ বছর বয়সি তরুণী ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এর আগে আরও সাতটি বিয়ে করেছে। বিয়ের পর সোনার গয়না, মঙ্গলসূত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। এটি তার অষ্টম বিয়ের পরিকল্পনা ছিল। এবারেও সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল। কিন্তু বিয়ের আগেরদিন পাত্রের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি। 

    পাত্র জানান, ম্যাট্রিমনি সাইটে এই তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। একটি শপিং মলে দেখা করেছিলেন তাঁরা। সেদিন তরুণী বলেছিল, সে অনাথ। আত্মীয় বলতে কেউই নেই। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে কেউ উপস্থিত থাকতে পারবেন না। বিয়ের আগেরদিন এক বন্ধুর সন্দেহ হয়েছিল তাকে দেখে। তখনই পাত্রকে তিনি জানান। তারপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। 

    পার্লারে সাজগোজের সময় তরুণীর ব্যাগে তল্লাশি চালান দু'জন। সেখানেই আগের সাতটি বিয়ের নথি পাওয়া যায়। পুলিশ সেগুলো দেখে আগের পাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে। 
  • Link to this news (আজকাল)