'ঈশ্বর করিয়েছেন, মোটেই অনুতপ্ত নই', প্রধান বিচারপতিকে জুতো ছোড়ার ঘটনায় দাবি অভিযুক্ত আইনজীবীর...
আজকাল | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইকে জুতো ছোড়ার ঘটনায় সোমবার গোটা দেশে হইচই পড়ে গিয়েছিল। বার কাউন্সিলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে অভিযুক্ত আইনজীবী রাকেশ কিশোরের। কিন্তু, গোটা ঘটনায় একটুও অনুতপ্ত নন আইনজীবী রাকেশ। তিনি বলেন, "এটা আমি করিনি। ঈশ্বর করেছেন। ভারতের প্রধান বিচারপতি সনাতন ধর্মকে উপহাস করেছেন। এটা ছিল সর্বশক্তিমানের আদেশ, একটি কাজের প্রতিক্রিয়া।" তাঁর আরও দাবি, "বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে। তারা কোনও শৃঙ্খলা কমিটির কাছে বিষয়টি না পাঠিয়ে এবং আমার কথা না শুনেই আমাকে বরখাস্ত করেছে।"
যদিও প্রধান বিচারপতি আগেই জানিয়েছেন যে, সোমবারের নজিরহিহীন ওই মোটেই বিচলিত নন তিনি। বিআর গাভাই বলেছিলেন, "আমাকে অনেকেই বলেছিল যে, নির্দেশ দেওয়ার সময়ে আমার কোনও মন্তব্য সোশাল মিডিয়ায় একটি নির্দিষ্ট উপায়ে তুলে ধরা হয়েছে। আমি সকল ধর্মকে সম্মান করি। এসব দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। এসব আমার উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।" নাটকীয় ওই ঘটনার পরও শুনানি চালিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি।
সোমবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন আচমকাই আইনজীবী রাকেশে যাদব প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইকে লক্ষ্য করে জুতো ছুড়ে মারেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালত কক্ষ থেকে বের করে আনার সময় তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন, "ভারতে সনাতন ধর্মের অপমান সহ্য করা হবে না।"
কেন এত রাগ আইনজীবী রাকেশের? সপ্তাহ খানেক আগে প্রধান বিচারপতির এজলাসে মধ্যপ্রদেশের একটি ক্ষতিগ্রস্ত বিষ্ণু মূর্তি পুনরুদ্ধারের মামলা শুনানি ছিল। সেই সময় একটি প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, "যাও, দেবতাকে জিজ্ঞাসা করো"। অনুমান করা হচ্ছে অভিযুক্তের মন্তব্যের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বিচারপতি গাভাইকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়া এবং ‘সনাতনের অপমান’ সম্পর্কিত মন্তব্যের।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রোহিত পান্ডে অভিযুক্তকে শনাক্ত করেন। অভিযুক্ত রাকেশ কিশোর ২০১১ সাল থেকে সুপ্রিম বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। রোহিত বলেন, "প্রধান বিচারপতির ঈশ্বর সম্পর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।"
এদিকে রাকেশকে তদন্তকারী সংস্থা আটক করেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে প্রধান বিচারপতি পরে রেজিস্ট্রিকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য বলেছেন।