বোনের সিঁথিতে সিঁদুর! চুপিচুপি দেখে ফেলেছিলেন দাদা, কারণ জানতেই যা করলেন, আঁতকে উঠেছে পুলিশ ...
আজকাল | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বোন কেন সিঁদুর পরে! চুপিচুপি দেখেই মেজাজ চরমে। জানতে পারলেন, বোন এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ। তবে কি না জানিয়ে বিয়েও করে ফেলেছেন? বোনের প্রেমের সম্পর্ক ঘিরে পারিবারিক অশান্তিও চরমে। অবশেষে বোনকে খালের জলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে খুন করলেন দাদা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার গোরখপুরে ১৯ বছর বয়সি এক তরুণীকে ডুবিয়ে খুন করেন তাঁর দাদা। এরপর মৃতদেহের পাশে টানা দেড় ঘণ্টা বসেছিলেন। এরপর পুলিশে ফোন করে বিষয়টি জানান। বোনকে খুনের ঘটনাটিও স্বীকার করে নেন।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, বোনের প্রেমের সম্পর্ক ঘিরেই আপত্তি ছিল দাদার। বারবার সেই সম্পর্ক ভাঙার জন্য জোরাজুরি করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও তরুণী সেই সম্পর্ক ভাঙেননি। মৃত তরুণীর নাম, নিত্যা যাদব। দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ছিলেন তিনি। একাধিকবার তাঁকে সিঁদুর পরতেও দেখেছিলেন তাঁর দাদা আদিত্য। পরে জানতে পারেন, তিন বছর ধরে এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। যে সম্পর্ক ভাঙার জন্য জোরাজুরি শুরু করেন আদিত্য। তারপরেও প্রেমিকের সঙ্গে নিত্য যোগাযোগ ছিল তরুণীর।
রবিবার বচসার জেরে আচমকাই বাড়ি ছেড়ে চলে যান নিত্যা। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন বাড়ির অদূরে এক রেস্তোরাঁয় বোনকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখতে পান আদিত্য। তখনই অশান্তি শুরু করেন। বোনকে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টাও করেন। কিন্তু তাতেও তরুণী রাজি ছিলেন না। অবশেষে জোরজবরদস্তি করে বোনকে টেনে হিঁচড়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে যান আদিত্য।
পুলিশকে আদিত্য জানান, সেখানেই বোনকে বেধড়ক মারধর করেন তিনি। এরপর খালে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। কিছুক্ষণ পর দেহটি তুলে খালের পাড়ে নিয়ে আসেন। বোনের নিথর দেহের পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটান। শেষমেশ পুলিশে ফোন করে খুনের ঘটনাটি স্বীকার করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি আদিত্যকেও হেফাজতে নিয়েছে তারা।
জানা গেছে, আদিত্যর দুই বোন ও এক ভাই রয়েছে। বাবার মৃত্যুর পর সংসারের দায়িত্ব তিনিই সামলান। শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। বোনকে খুবই ভালবাসতেন। তবে সেই প্রেমের সম্পর্ক মানতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, রাখি উৎসবে যোগীরাজ্যে আরও একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছিল। রাখি পরানোর কয়েক ঘণ্টা পরেই নিজের বোনকে খুন করেছিল দাদা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ঝাঁসির গরৌথা এলাকায়। ১৮ বছর বয়সি তরুণীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ তাঁর দাদার বিরুদ্ধে। বোনের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি ছিল দাদার। যাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন, সেই ছেলেকে পছন্দ করত না দাদা। ঘটনাটি ঘিরে বিরক্ত ছিল সে। সেই রাগেই বোনকে খুন করে বলে জানা গেছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ঠিক রাখি বন্ধন উৎসবের পরেই। রবিবার কুমারী সহোদর ওরফে পু্ট্টি নামের তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চন্দ্রপুরা গ্রামের একটি নির্জন এলাকায় দাদা মহারাজ প্ল্যাটফর্মের কাছে তরুণীর দেহটি পাওয়া যায়। তাঁর মাথা ন্যাড়া অবস্থায় ছিল। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এই খুনের ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতে অরবিন্দ ও প্রকাশ প্রজাপতি নামের দুই তরুণকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। দুই তরুণের বয়স ২৫ বছর। অরবিন্দ সম্পর্কে মৃত তরুণীর দাদা। শনিবার দাদার হাতে রাখি পরিয়েছিলেন কুমারী। ঠিক তার কয়েক ঘণ্টা পরেই অরবিন্দ কুমারীকে কুপিয়ে খুন করেন।
কুমারীর খুনের তদন্তে নেমে আরও এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, কুমারীর প্রেমিককেও খুন করেছে অরবিন্দ। তাও আবার দিন কয়েক আগেই। তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক ঘিরে আপত্তির কারণে পরপর খুনের ঘটনাটি সে ঘটায়। প্রথমে কুমারীর প্রেমিককে এবং পরে নিজের বোনকেই খুন করে সে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭ আগস্ট গুধা গ্রাম থেকে ১৯ বছর বয়সি বিশাল নামের এক তরুণের দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। বিশালের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কুমারীর। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, চার মাস আগে বিশাল ও কুমারী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরিবারের চাপে আবারও বাড়ি ফিরে আসেন তাঁরা। দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সাময়িক সমাধান হয়। বিষয়টি ঘিরে শোরগোল বন্ধ হয় সাময়িকভাবে।
কিছুদিন পর থেকে আবারও বিশাল ও কুমারী লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করতে শুরু করেন। বিষয়টি গ্রামবাসীরাও জানতে পারেন। বোনের সঙ্গে বিশালের দেখা- সাক্ষাতের বিষয়টি জানতে পারে অরবিন্দ। দিন কয়েক আগে তড়িঘড়ি করে পুনে থেকে গ্রামে ফিরে আসে সে। গ্রামে ফেরার পরেই বন্ধুর সঙ্গে খুনের পরিকল্পনা করে।
গত ৭ আগস্ট সকালে চাকরির টোপ দিয়ে বিশালকে নিয়ে নির্জন এলাকায় চলে যায় অরবিন্দ ও প্রকাশ। সেখানে গিয়েই বিশালকে কুপিয়ে খুন করে তারা। এরপর শনিবার বোনকে ওষুধ কিনে দেওয়ার অজুহাতে বাড়ি থেকে বের হয় অরবিন্দ। আবারও নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে বোনকে কুপিয়ে খুন করে সে। বিশালের বাবা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।