পুজোয় বেড়াতে গিয়েছিলেন ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে, মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হুগলির শিক্ষিকা সহ পাঁচজনের
আজকাল | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
মিল্টন সেন: ছত্তিশগড়ের কানহা ন্যাশনাল ফরেস্ট থেকে ফেরার সময় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চার পর্যটক সহ পাঁচজনের। মৃতরা হুগলির এক স্কুলের শিক্ষিকা ও তাদের পরিবার বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, হুগলি জেলার ডানকুনি শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যাশ্রম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষিকা তাদের সন্তানদের নিয়ে পুজোর ছুটিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সোমবার বিকালে ছত্তিশগড়ের কানহা ন্যাশনাল ফরেস্ট ঘুরে বিলাসপুর স্টেশন যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের।
স্টেশনে যাওয়ার পথে জাতীয় সড়কে তাদের এসইউভি গাড়ির সঙ্গে একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। জানা গিয়েছে, গাড়িতে চালক সহ মোট দশজন ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকি পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতদের চিকিৎসা চলছে সেখানকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। স্থানীয়রাই উদ্ধারকার্যে এগিয়ে আসেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের। জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুরের বাসিন্দা মুনমুন বাগ আর তার ছেলে ছিলেন পর্যটকদের দলে।
মুনমুন ডানকুনির শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যাশ্রম স্কুলের শিক্ষিকা বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর পর পরিচয় নিশ্চিত করে খবর দেওয়া হয় তাঁর স্বামীকে। তিনি দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রওনা দেন। জানা গিয়েছে, ডানকুনির শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যাশ্রম হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছেই অবস্থিত।
ঘটনার খবর পেয়ে সুবীর ইতিমধ্যেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। হুগলি ডিআই এবং অতিরিক্ত জেলা শাসকের(উন্নয়ন) সঙ্গেও কথা বলে দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষিকাদের সব রকম সাহায্যের কথা জানান।
শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বলেন,'খুবই মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা। ডানকুনি স্কুলের শিক্ষিকারা ছিলেন ঘটনাস্থলে। পাশাপশি বর্তমানে কলকাতার এক স্কুলের শিক্ষিকাও ছিলেন বলে শুনেছি। তিনি আগে এই স্কুলে কর্মরত ছিলেন। ছত্তিশগড়ে যে কোনও রকম সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমাদের সাংসদ রয়েছেন। তিনিও সব রকম ব্যবস্থা করবেন।'
সম্প্রতি, দুর্গা প্রতিমা আনার সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল হুগলিতে। জানা যায়, চন্দননগর পটুয়াপাড়া থেকে ঠাকুর আনতে গিয়েছিল পোলবার শঙ্করবাটি গ্রামের বারোয়ারীর সদস্যরা। ঠাকুরের গাড়ি গ্রামে পৌঁছে গেলেও পিছনে থাকা চার চাকা গাড়িটি পৌঁছতে দেরি হতে থাকে। গাড়িতে ছিলেন চালক সহ পুজো আয়োজকদের ছয় জন। পুজো কমিটির এক সদস্য জানান, অনেক দেরি হতে দেখে তাঁরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। চার চাকা গাড়ি কেন ফিরছে না দেখে ওই গাড়িতে থাকা এক জনকে ফোন করা হয়।
পুলিশ ফোন ধরে জানায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। কমিটির সদস্যরা সেখানে পৌঁছন। আহতদের উদ্ধার করে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে চন্দননগর রেল ওভার ব্রীজ থেকে নামার সময় রাস্তার পাশে থাকা ইটের পাঁজায় সজোরে ধাক্কা মারে চার চাকা গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’ জনের। বাকি চার জন সহ আরও একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়।