আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক রাতের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড়। ঘরবাড়ি হারিয়েছেন বহু মানুষ, প্রাণ গিয়েছে অন্তত ২৩ জনের। ঘটনার পরের দিনেই, অর্থাৎ সোমবারেই উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মঙ্গলবারে মিরিকে যাবেন তিনি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে জোর জল্পনা, উত্তরবঙ্গে শাহি-সফর নিয়ে। একাধিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তরবঙ্গে আসতে পারেন। যদিও শিলিগুড়িতে তাঁর সরকারি অনুষ্ঠান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জল্পনা, তার ফাঁকেই তিনি আহত বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, ঘুরেও দেখতে পারেন বন্যা বিধ্বস্থ এলাকা।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সোমবার বন্যার জেরে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের বামনডাঙা চা বাগানে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও গেরুয়া শিবিরের অপর এক বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বিক্ষোভ চলাকালীন খগেন মুর্মুর মাথা ফেটে যায়। সেইসঙ্গে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় শঙ্কর ঘোষকে। বাসিন্দাদের বলতে শোনা যায়, পাঁচ বছর পর আজ কেন খোঁজ নিতে এসেছেন। চিকিৎসার জন্য দ্রুত সাংসদকে নিয়ে এলাকা ছাড়েন শঙ্কর।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাওয়ার পরেই স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ ও বিধায়ক। প্রথমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও তাঁদের সেই প্রয়াস কাজে আসেনি। ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে থাকে। মারমুখী হয়ে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। এমনকী তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ শঙ্কর ঘোষকে জুতো নিয়ে তেড়ে যান বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে দুই নেতাই গাড়িতে উঠে পড়েন।
কিন্তু জনতার ক্ষোভ তাতেও প্রশমিত হয়নি। তাঁদের বলতে শোনা যায়, সারাবছর না এসে এখন কেন এসেছেন? সেইসঙ্গে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে উড়ে আসতে থাকে ইট ও পাথর। দুই নেতার সঙ্গের দেহরক্ষীরা আটকানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। জানা গিয়েছে, এরমধ্যেই একটি ইঁট এসে লাগে সাংসদ খগেন মুর্মুর মাথায়। সঙ্গে সঙ্গে মাথা ফেটে গিয়ে ঝরঝর করে রক্ত বেরোতে থাকে। ভেঙে যায় গাড়ির কাঁচ। আহত খগেন মুর্মুকে নিয়ে যাওয়া হয় চালসা মঙ্গলবাড়ির একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শিলিগুড়িতে। পরে জানা যায়, খগেন মুর্মুর চোখের নীচে হাড় ভেঙেছে। অন্যদিকে, কিরেন রিজিজু মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এসেছেন।