• যাত্রীবাহী টোটোয় মারুতির ধাক্কা! চুঁচুড়ার কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত ৪...
    আজকাল | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • মিল্টন সেন: মারুতির সঙ্গে টোটোর ধাক্কায় গুরুতর আহত চার। মঙ্গলবার ভোরে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির সুগন্ধা মোড়ের কাছে। জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে চুঁচুড়া স্টেশন দিক থেকে যাত্রী নিয়ে সুগন্ধা গেটের দিকে যাচ্ছিল একটি টোটো। দিল্লি রোডের পুরানো পুকুরের কাছে পৌঁছতেই হঠাৎই বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মারুতি গাড়ি টোটোটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। ধাক্কার অভিঘাতে টোটোটি উলটে যায় এবং দুটি গাড়ির সামনের অংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনায় টোটোয় থাকা তিনজন মহিলা যাত্রী গুরুতর জখম হন।

    টোটো চালক মনোজ ঘাঁটির মাথায় চোট লাগে। চারজনকেই দ্রুত চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যায় পোলবা থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, টোটো চালক মনোজ ঘাঁটির বাড়ি পোলবার বিহারী পল্লিতে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, আগে তিনি মুম্বইয়ে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বছর দেড়েক আগে গ্রামে ফিরে এসে নিজের টোটো কিনে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। মঙ্গলবার সকালে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর পুলিশ মারুতি চালককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

    মারুতিতে থাকা এক মহিলা যাত্রী অক্ষত রয়েছেন। দুটি ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িকেই পরে ক্রেন দিয়ে সরিয়ে রাস্তা ফাঁকা করা হয়। পোলবা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সম্প্রতি, ছত্তিশগড়ের কানহা ন্যাশনাল ফরেস্ট থেকে ফেরার সময় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চার পর্যটক সহ পাঁচজনের। মৃতরা হুগলির এক স্কুলের শিক্ষিকা ও তাদের পরিবার বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, হুগলি জেলার ডানকুনি শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যাশ্রম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষিকা তাদের সন্তানদের নিয়ে পুজোর ছুটিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।

    সোমবার বিকালে ছত্তিশগড়ের কানহা ন্যাশনাল ফরেস্ট ঘুরে বিলাসপুর স্টেশন যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। স্টেশনে যাওয়ার পথে জাতীয় সড়কে তাদের এসইউভি গাড়ির সঙ্গে একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। জানা গিয়েছে, গাড়িতে চালক সহ মোট দশজন ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকি পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা চলছে সেখানকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। স্থানীয়রাই উদ্ধারকার্যে এগিয়ে আসেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের।

    জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুরের বাসিন্দা মুনমুন বাগ আর তার ছেলে ছিলেন পর্যটকদের দলে। মুনমুন ডানকুনির শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যাশ্রম স্কুলের শিক্ষিকা বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর পর পরিচয় নিশ্চিত করে খবর দেওয়া হয় তাঁর স্বামীকে। তিনি দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রওনা দেন। জানা গিয়েছে, ডানকুনির শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যাশ্রম হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছেই অবস্থিত। ঘটনার খবর পেয়ে সুবীর ইতিমধ্যেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। হুগলি ডিআই এবং অতিরিক্ত জেলা শাসকের(উন্নয়ন) সঙ্গেও কথা বলে দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষিকাদের সব রকম সাহায্যের কথা জানান।
  • Link to this news (আজকাল)