'যারা জয় শ্রীরাম বলে, মোদী কেবল তাদের প্রধানমন্ত্রী', আক্রমণ কল্যাণের
আজ তক | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর হামলার ঘটনায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই নিয়ে ট্যুইট করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার জবাব দিয়েছেন। এবার আসরে নামলেন তৃণমূল সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের বন্যা দিয়ে রাজনীতি করছেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে কল্যাণ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'খগেন মুর্মুর উপর হামলার ঘটনার সমর্থন করি না। কেউ ত্রাণ বিলির জন্য গিয়েছেন আর তিনি আক্রান্ত হয়েছেন, এটা কোনওভাবে কাম্য নয়। তবে এই হামলা তো বিক্ষোভের ফল। কোনও ত্রাণ দেখা যায়নি বিজেপির প্রতিনিধিদের হাতে। তাঁদের সঙ্গে তো কেবল CISF ছিল। সাধারণ মানুষের বিজেপির উপর ক্ষোভ রয়েছে। কারণ বিজেপিও তো তৃণমূলকে আক্রমণ করে। কখনও মানুষের পাশে থাকে না।'
এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তীব্র সমালোচনা করেন কল্যাণ। তাঁর দাবি, 'পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ভুটানে বৃষ্টি হচ্ছে, এখানে বন্যা। কমিশন বসানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করছেন। কেন্দ্রকে সেকথা বলাও হয়েছে। তবে তারা কর্ণপাত করছে না। এই বন্যা যদি গুজরাতে হত তাহলে এতদিনে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে দিতেন মোদী। ১৪ বার চলে যেতেন। উনি তো বিজেপির প্রধানমন্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারলেন না। যারা জয় শ্রীরাম বলে, তাদের প্রধানমন্ত্রী।'
প্রধানমন্ত্রী মোদীর ট্যুইট রাজনৈতিক বলেও দাবি করেন কল্যাণ। তাঁর মতে, 'দেশের প্রধানমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের বন্য়া নিয়ে রাজনীতি করছেন। এটা কাম্য নয়। আমরা খুব দুর্ভাগা। আর বিজেপির ওই দুই নেতা এতটাও বড় হনু নন যে তাঁদের পুলিশকে না জানিয়ে যেতে হবে।'
প্রসঙ্গত, সোমবার নাগরাকাটায় গিয়ে আক্রান্ত হন খগেন মুর্মু। সূত্রের খবর, তাঁর চোখের নিচের হাড় ভেঙে গিয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে।
এদিকে খগেন মুর্মুর উপর হামলার পর তার নিন্দা করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইট করেন তিনি। লেখেন, 'যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরা, যাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন। আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।'