• মালদহে কংগ্রেস নেতাকে গাড়ি দিয়ে পিষে খুন! অভিযোগের তির দলীয় কর্মীর দিকে
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে কংগ্রেস নেতাকে গাড়ি চাপা দিয়ে পিষে মারার অভিযোগ। দলের এক কর্মীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন নিহত নেতার স্ত্রী। গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। বর্তমানে আহতরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। লক্ষ্মীপুজোর রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কনুয়া এলাকায়।

    নিহত নেতার নাম নরেন্দ্রনাথ সাহা। বয়স ৪৫। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কনুয়া এলাকায়। কংগ্রেস পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। এলাকায় পরোপকারী হিসাবে পরিচিত ছিলেন নরেন্দ্রনাথ। শুধু রাজনীতি নয়, পেশায় ছিলেন আইনজীবী। সোমবার রাতে দলীয় এক কর্মীর সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়ে বচসা বাঁধে বলে অভিযোগ। তার পরেই নরেন্দ্রনাথকে গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করা হয় বলে দাবি। এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েক জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের নাম শেখর সাহা, শশাঙ্ক সাহা, মনোজ কুমার দাস এবং পুলক সাহা। চার জনই আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ, রায়গঞ্জ এবং শিলিগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসারত।

    নিহতের স্ত্রীর দাবি, পুরনো শত্রুতা এবং রাজনৈতিক রেষারেষির জেরে পরিকল্পিতভাবে গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে। নিহত নেতার স্ত্রী মঞ্জু সাহার দাবি, এটি নিছক কোনও দুর্ঘটনা নয়, বরং ‘পরিকল্পিত খুন’। তাঁর অভিযোগ, স্বামীকে ইচ্ছাকৃত ভাবে গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করেছেন এলাকারই বাসিন্দা তথা কংগ্রেসের কর্মী বিপদ মণ্ডল। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই নিহত নেতা ও অভিযুক্তের মধ্যে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক রেষারেষি ছিল। আগে বেশ কয়েক বার দু’জনের বচসাও হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। তা ছাড়া, আহত শেখর ও শশাঙ্ক— দু’জনেই এলাকায় তৃণমূলের দাপুটে নেতা হিসাবে পরিচিত। ফলে দলীয় প্রতিহিংসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি একাংশের।

    অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ঘটনার পর অভিযুক্ত বিপদ মণ্ডল হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। পুরো ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, ‘এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়। পরিকল্পিত খুন। দলের মধ্যেই এই ধরনের শত্রুতা ভয়ঙ্কর বার্তা দিচ্ছে।‘ ঘটনার জেরে এলাকায় মোতায়েন হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নাকি ব্যক্তিগত রেষারেষি,  তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)